দুই দশক পর পর্দায় আসছে ডেভিড ফ্রাঙ্কেল পরিচালিত এবং ওয়েন্ডি ফিনারম্যান প্রযোজিত সিনেমা ‘দ্য ডেভিল ওয়েয়ার্স প্রাডা’-এর সিক্যুয়েল। এটি ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া একটি বিখ্যাত আমেরিকান কমেডি-ড্রামা চলচ্চিত্র।
২০০৩ সালের লরেন ওয়েইসবার্গারের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লেখেন অ্যালাইন ব্রশ ম্যাককেনা। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন মেরিল স্ট্রিপ, অ্যানি হ্যাথওয়ে, স্ট্যানলি টুকি, এমিলি ব্লান্টের মতো তারকারা।
এবার নির্মিত হচ্ছে এই সিনেমার দ্বিতীয় কিস্তি। ৩০ জুন থেকে শুরু হয়েছে শুটিং। সেখানে অংশ নিয়েছেন মেরিল স্ট্রিপ, অ্যানি হ্যাথওয়ে ও এমিলি ব্লান্ট।
টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি স্টুডিওস এক্স একটি পোস্টের মাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছে। ক্যাপশনে প্রযোজনা সংস্থাটি লিখেছে, “দ্য ডেভিল ওয়েয়ার্স প্রাডা ২’, এখন প্রযোজনা চলছে।” মূল ছবির তারকাদের পাশাপাশি এবার মেরিলের চরিত্র মিরান্ডা প্রিসলির স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করবেন কেনেথ ব্রানাঘ।
‘দ্য ডেভিল ওয়েয়ার্স প্রাডা’ ছবিটি ২০০৩ সালে লরেন ওয়েইসবার্গারের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি। এই সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে অ্যান্ডি শ্যাক্সকে ঘিরে, যিনি একজন তরুণ, সাংবাদিকতায় স্নাতক। অ্যানি হ্যাথওয়ে এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এখানে তিনি রানওয়ে ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক মেরিল স্ট্রিপ অভিনীত শক্তিশালী মিরান্ডা প্রিসলির সহকারী হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এদিকে, এমিলি ব্লান্ট, মিরান্ডার সিনিয়র সহকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেখানে স্ট্যানলি টুকি একজন ফ্যাশন সম্পাদকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
যদিও সিক্যুয়েলের গল্পের বিবরণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে আধুনিক মিডিয়ার যে অবস্থান, সেই প্রেক্ষাপটে মিরান্ডা প্রিসলির ক্যারিয়ার নিয়ে একটা গল্প উঠে আসবে বলে জানা গেছে। বলা প্রয়োজন, ‘দ্য ডেভিল ওয়েয়ার্স প্রাডা’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে মিরান্ডা এবং অ্যান্ডির মধ্যে একটি পেশাদারী দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে। অ্যান্ডি শ্যাক্স (হ্যাথওয়ে) একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী সাংবাদিক। তিনি একটি ফ্যাশন ম্যাগাজিনে চাকরি পান কিন্তু তার সম্পাদক মিরান্ডা প্রিসলির (মেরিল স্ট্রিপ) সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
‘দ্য ডেভিল ওয়েয়ার্স প্রাডা ২’ ২০২৬ সালের ২১ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: ভ্যারাইটি