মাহফুজুর রহমান খান এখনও লাইফ সাপোর্টে

মাহফুজুর রহমান খাননয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান এখনও লাইফ সাপোর্টে আছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা নাগাদ তার মৃত্যুর গুজব ও সংবাদ প্রকাশের পর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি এখনও বেঁচে আছেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ৪টার দিকে মাহফুজুর রহমান খানের ভাতিজা পিনু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি নিজে এখন হাসপাতালে উপস্থিত আছি। তিনি এখনও বেঁচে আছেন। তার হার্ট এখনও রেসপন্স করছে। লাইফ সাপোর্টেই আছেন। কে বা কারা এসব বাজে খবর ছড়াচ্ছে, সেটা ভেবেই আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। এটা আমাদের পরিবারের প্রতি চরম অবিচার হচ্ছে। এখন আমরা সবার কাছে দোয়া চাই, গুজব চাই না।’

এর আগে ২৫ নভেম্বর থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় নন্দিত এই চিত্রগ্রাহককে। ২৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাহফুজুর রহমান খান অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে রাজধানীর গ্রিনলাইফ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরেক ভাতিজা রাশেদ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, মাহফুজুর রহমান খানের ফুসফুসের অবস্থা গুরুতর।
এদিকে তার এমন অসুস্থতার খবরে চলচ্চিত্র শিল্পীদের মাঝে দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে মাহফুজুর রহমান খানের খোঁজ-খবর নেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সুস্থতা কামনা করে দোয়া চান।
চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন, ‌‘‘চাঁদের আলো’ ছবিতে তার সঙ্গে কাজ করেছি। আমার সৌভাগ্য কিছু বরেণ্য মানুষকে সঙ্গে পেয়েছিলাম। তার মধ্যে বিশাল মনের মানুষ মাহফুজুর রহমান খান। তিনি নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। এটুকুই বলবো, বাবা, আমাদের কাছে ফিরে আসো। ইনশআল্লাহ তোমাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবেন সৃষ্টিকর্তা।’’
মাহফুজুর রহমান খান চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের জন্য নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটবার বাচসাস এবং একবার বিশেষ বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। প্রয়াত নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ চলচ্চিত্রে তিনি ক্যামেরার পেছনে ছিলেন।
মাহফুজুর রহমান খান ১৯৪৯ সালের ১৯ মে পুরান ঢাকার হেকিম হাবিবুর রহমান রোডে এক বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে তিনি ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ূন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মতো চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন।