মূলত এসব সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খোঁজার উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সমিতিগুলো। অবশেষে সেই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন স্বয়ং শাকিব খান নিজেই।
গতকাল ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি এক মতবিনিময়ের আয়োজন করে। চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে প্রণীত নীতিমালাই ছিল আয়োজনের মূল বিষয়।
সেখানে শাকিব উপস্থিত থেকে জানান, নতুন নীতিমালার পক্ষে আছেন তিনি।
সভাটি নিয়ে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা চেয়েছি চলচ্চিত্র নির্মাণ যেন একটা নিয়মের মধ্যে হয়। অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। শিল্পী ও কলাকুশলীরা এ বিষয়ে বেশ আন্তরিক। ইতোমধ্যে আমরা লাইটম্যানসহ বেশ কিছু সমিতির মূল্যও নির্ধারণ করেছি। আর এ মুহূর্তে শাকিব চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক। শাকিব খান বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যে নীতিমালা মেনে ছবি নির্মাণ ও অভিনয় করছেন। সামনেও এ নীতিমালা মেনে চলবেন। এটা আমাদের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বড় অর্জন।’
চলচ্চিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি গত বছরের ৬ অক্টোবর চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠনের ২০ জন সদস্যের উপস্থিতিতে চলচ্চিত্র নির্মাণ-সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেন। যা গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
১. এক লাখ টাকার ওপরে যাদের পারিশ্রমিক, তারা কোনও যাতায়াত ভাতা পাবেন না।
২. কলাকুশলীদের অবশ্যই প্রযোজকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় প্রথম কিস্তিতে ২৫ ভাগ, পরে কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে বাকি ৭৫ ভাগ তিন কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে।
৩. সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শুটিংয়ের সময়। মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি। কোনও শিল্পী বা কলাকুশলী যদি সময়মতো না আসেন, তার জন্য সময়মতো শুটিং শুরু করা সম্ভব না হলে এই ক্ষতিপূরণ তাকেই বহন করতে হবে। কিন্তু শিল্পী আসার পরও যদি নির্দিষ্ট সময়ে ক্যামেরা চালু করা না হয়, তাহলে সেই ক্ষতিপূরণ দেবেন পরিচালক।
৪. পোশাকের জন্য কোনও শিল্পীকে টাকা দেওয়া হবে না। গল্পের প্রয়োজনে তা প্রোডাকশন থেকে তৈরি করে দেওয়া হবে। শুটিং শেষে প্রযোজকের কাছে পোশাক ফেরত দিতে হবে। কোনও পোশাক শিল্পীর পছন্দ হলে সেই পোশাক তৈরির খরচ দিয়ে শিল্পী নিতে পারবেন।
৫. নায়ক, নায়িকা, ভিলেন (প্রধান চরিত্রে) একজন করে সহযোগী নিতে পারবেন। এর ব্যয়ভার প্রোডাকশন থেকে বহন করা হবে। অতিরিক্ত কাউকে প্রোডাকশন বহন করবে না।
৭. আউটডোরে অবস্থানের সময় সহকারী পরিচালক ও সহকারী চিত্রগ্রাহক যাতায়াতের অর্ধেক হাতখরচ বাবদ পাবেন।
৮. যেসব কলাকুশলী দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে পারিশ্রমিক পান, তারা আউটডোরেও সেই পরিমাণ পারিশ্রমিক পাবেন।