শুরু হলো শিশু চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ-২০২০।
গতকাল (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এর উদ্বোধন হয়। আর আজ থেকে শুরু হলো চলচ্চিত্রের মূল প্রদর্শনী।
গতকাল জাতীয় সংগীত গেয়ে ও মুক্ত আকাশে পায়রা উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা মনোয়ার, চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।
এর দ্বিতীয় পর্বে সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় আলোচনা পর্ব। এরপর উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে ‌‘রোকা চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ ও বিশেষ প্রদর্শনীতে ‘খোকা যখন ছোট ছিলেন’ ছবিটি দেখানো হয়।
এতে জনপ্রিয় সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমরা এসব আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রগুলো শিশুদের দেখানো শুরু করেছি। এটা খুবই আনন্দের। এতে করে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের রুচি আরও বেড়ে যাবে।’
প্রধান অতিথি আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘তাদের (শিশু) চরিত্র, মনন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা গঠনে নিশ্চয়ই এ আয়োজনের মূল্যবান অবদান আছে।’
চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের উদ্যোগে এ উৎসব চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ উৎসব পরিচালক ফারিহা যাহিন বিভা বলেন, ‘আয়োজনের ব্যাপকতার দিক দিয়ে এই উৎসবটি শিশুদের জন্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র উৎসব তো বটেই, সম্ভবত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একটি চলচ্চিত্র উৎসব।’
এবারের উৎসবে মোট ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। রাজধানীর পাঁচটি ভেন্যুতে ৩৯টি দেশের এই ছবিগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। ভেন্যুগুলো হলো- কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন, জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়াম, শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা, আঁলিয়স ফ্রঁসেস সেন্টার এবং গ্যেটে ইনস্টিটিউট।
আজ ২৫ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট চারটি করে শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত সিনেমাও দেখানো হবে উৎসবে।