শিল্পকলায় নিশাত চত্বর

নিশাতগত ১৯ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দেশ নাটকের প্রধান নাট্যজন ইশরাত নিশাত। সহকর্মী হারানোর বেদনায় এখনও শোকাহত থিয়েটার কর্মীরা।
গতকাল (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে শোকাঞ্জলির আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি জাতীয় নাট্যশালার সামনের অংশকে ‘নিশাত চত্বর’ ঘোষণা করে নামফলক ঝুলিয়েছেন মঞ্চশিল্পীরা।
এদিকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে এ শোকাঞ্জলিতে নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘আমরা নানা কারণে সাহস করে সত্য কথাটা বলতে পারি না। অনেক সময় আপস করে চলতে হয়। নিশাত কখনও আপস করতো না। তরুণ নাট্যকর্মীদের নিশাতের মতো সাহসী হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে নিশাতকে নিয়ে লেখা শোক বক্তব্য পাঠ করেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। এছাড়া বক্তব্য দেন গোলাম কুদ্দুছ, আতাউর রহমান, শিমূল ইউসুফ, আজাদ আবুল কালাম, ঠাণ্ডু রায়হান প্রমুখ। আবৃত্তি করেন আহকাম উল্লাহ।
ইশরাত নিশাতের মৃত্যুর পর জাতীয় নাট্যশালার সামনে অংশকে ‘নিশাত চত্বর’ ঘোষণার প্রথম দাবি তুলেছিলেন মঞ্চবিষয়ক কাগজ ‘ক্ষ্যাপা’র সম্পাদক পাভেল রহমান। পরে এ দাবির সঙ্গে থিয়েটার অঙ্গনের অনেকেই একাত্মতার কথা জানান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বিষয়টি নিয়ে দেশ নাটকের নির্দেশক ও নাট্যকার মাসুম রেজা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘এটি সরকারি জায়গা, ফলে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত  অফিসিয়ালি চত্বর ঘোষণা করা যায় না। গতকাল একটি নামফলক গাছে ঝোলানো হয়েছে। এটি করা হয়েছে থিয়েটার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। আমরা চাই জায়গাটি ‘নিশাত চত্বর’ নামে পরিচিতি পাক। সরকারিভাবে স্বীকৃতির জন্যও আমরা আবেদন করবো। তবে তারও আগে আমরা এ চত্বরের নামটি ছড়িয়ে দিতে চাই।’’