মারজুক রাসেলের কবিতা আরও পড়তে চান কবীর সুমন

সুমন ও মারজুকসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই হাজির হন বাংলা সংগীতপ্রেমীদের প্রিয় গায়ক কবীর সুমন। যার বেশিরভাগ পোস্টেই থাকে প্রতিবাদ ও সামাজিক অসঙ্গতির কথা। থাকে পরামর্শ আর প্রশংসাও।

বাংলা গানের অন্যতম এ দিকপাল এবার প্রশংসা করলেন কবি-গীতিকার ও অভিনেতা মারজুক রাসেলের। প্রশংসার প্রসঙ্গ কবিতা।স্ক্রিনশট
‘‘এমন কবিতার মতো কবিতা বাংলা ভাষায় স্বাগতা দাশগুপ্তর ‘আপনার আপনার’-এর পর পড়িনি। মারজুক রাসেলের আরও কবিতা পড়তে চাই।’’
‘অল্টারনেটিভ’ কবিতাটি শেয়ার দিয়ে এই মন্তব্য সুমন করেন। এছাড়াও তিনি লেখেন, ‘কৃত্রিমতাহীন, ন্যাকামোহীন, গায়েপড়াবিপ্লবচুলকুনিহীন, আঁতলামিহীন, জ্যান্ত হিউমরওয়ালা আধুনিক বাংলা কবিতা বাংলাদেশেই লেখা হয়, আশ্চর্য!’
‘অল্টারনেটিভ’ কবিতাটি ২০০০ সালে যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটি প্রসঙ্গে মারজুক রাসেল বলেন, ‘'অলটারনেটিভ'―এই লেখাটা ২০০০ সালের কোনো-একসময় দৈনিক যুগান্তরের সাহিত্য পাতার জন্য ফ্যাক্স করছিলাম আজিজ সুপার মার্কেটের একটা ফোন-ফ্যাক্সের দোকান থেকে, যার সাক্ষ্য বহন করতেছে 'অলটারনেটিভ'-এর  ফটোপৃষ্ঠাটা। তখন যুগান্তরের সাহিত্যসম্পাদক ছিলেন  কবি আবু হাসান শাহরিয়ার, যার সহকারী ছিল বন্ধু শহীদুল ইসলাম রিপন― শাহরিয়ার ভাই আর রিপনরে খুব মিস করতেছি―।’’
এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মারজুক রাসেলের ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’ বই। এটি আসার পরপরই বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
পাশাপাশি এটি কেনার জন্য মেলায় তার ভক্তদের ঢল নেমেছে। বেশ কয়েকবার এটির মুদ্রণ শেষ হয়ে যায়। আর সে কারণে ‘চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো’ গ্রন্থটির পুনর্মুদ্রণ করা হয়। এটি মারজুক রাসেলের দ্বিতীয় কবিতার বই।
‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’-এর আগে মারজুকের চারটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় ১৫ বছর পর নতুন গ্রন্থ তিনি প্রকাশিত করলেন।