১৬ মার্চ গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং নিজের ফেসবুক পোস্টে দেওয়া বক্তব্যে সেটাই স্পষ্ট হলো।
মাকসুদুল হক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমি মাকসুদুল হক ‘মেলায় যাইরে’ গানটির আইনানুগ কপিরাইটের সম্পূর্ণ অধিকারী। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কথাটা আরও স্পষ্ট ভাষায় জানানো যাচ্ছে যে, ‘পহেলা বৈশাখ’ উদযাপনকালে কেউ যদি উক্ত গান কোথাও ব্যবহার করতে চান বা গানের অংশবিশেষ ব্যবহার করতে চান বা গানটির পুনর্নির্মাণ করতে চান অথবা গানটির দৃশ্য রূপায়ণ করতে চান কোনও প্রচারমাধ্যমে—সেক্ষেত্রে আমার সঙ্গে সরাসরি সংযোগের জন্য অনুরোধ করা গেল। এই গানের কপিরাইট আমি মাকসুদুল হক ছাড়া আর কারও অধিকারে নেই। এ তথ্যটা সবাইকে জানানো হলো।
বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন ‘ফিডব্যাক’ এবং বর্তমান ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ ব্যান্ডের এই গায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমি তথ্য অধিকার আইনে আমার তৈরি বেশ কিছু গানের অবস্থা জানতে চাই। সেখানে দেখতে পাই আমার ২০টির বেশি গান অনৈতিক ও নানাভাবে ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে ‘মেলায় যাই রে’। যা আমাকে বিস্মিত করেছে। এ জন্য বাধ্য হয়ে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। একে একে আমি সবকিছু নিয়েই বসবো। এ জন্য বৈশাখের আগেই একটি সংবাদ সম্মেলন করবো।’’
সবশেষে মাকসুদুল হক জানান, ‘এ বিষয়ে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আমার আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।’
বলে রাখা দরকার, এখন পর্যন্ত ‘মেলায় যাই রে’ গানটি পহেলা বৈশাখের সর্বোচ্চ জনপ্রিয় গান।
মাকসুদুল হকের কথা, সুর ও কণ্ঠের অসাধারণ এই গানটি প্রকাশ হয় ১৯৯০ সালে ফিডব্যাক ব্যান্ডের ‘মেলা’ অ্যালবামে। মূলত এরপর থেকে গানটি পহেলা বৈশাখের অন্যতম অংশ হয়ে আছে এখনও।