১৯৭১ সালের একটি পতিতালয়ের গল্প

শুটিংয়ে শতাব্দী ওয়াদুদ, তিশা, রুহী ও সমাপ্তি মাশুকসাল ১৯৭১। উত্তাল মার্চ। কল্যাণী নামের এক নারী ইসলামপুরে তার পৈতৃক ভিটায় কয়েকটি মেয়ে নিয়ে বসবাস করে।
কল্যাণীর বাড়িটি মূলত একটি পতিতালয়। তাকে আবার ভালোবাসে বিরিয়ানি দোকানদার আলতাফ। কিন্তু কল্যাণীদের এমন জীবন- যেখানে ভালোবাসা কিংবা সংসার থাকে না। এলাকার খালেক আবার কল্যাণীদের পাড়ায় নিয়মিত আসে। একদিন সামান্য একটি বিষয়ে বড় ধরনের বাগবিতণ্ডা হয় দুজনার মধ্যে।
গল্প মোড় নেয় ভিন্নদিকে। এমনই এক ভিন্ন আবহের গল্পে নির্মিত হলো ২৬ মার্চের বিশেষ নাটক ‘কালের আবর্তে’।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্পটি লিখেছেন হেলেন বদরুদ্দীন। সৈয়দ ইকবালের চিত্রনাট্য ও আবু হায়াত মাহমুদের পরিচালনায় নাটকটিতে কল্যাণী চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, খালেকের চরিত্রে শতাব্দী ওয়াদুদ ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত জান্নাত রুহী, সমাপ্তি মাশুক, রিগ্যান, হাসি প্রমুখ।
নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ জানান, নাটকে নুসরাত ইমরোজ তিশা, শতাব্দী ওয়াদুদ ও নুসরাত জান্নাত রুহীকে দুই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এক ধরনের গেটআপ আর এই সময়ে এসে আরেক ধরনের গেটআপে পর্দায় দেখা যাবে।
ফ্যাক্টর থ্রি সলিউশনস ও ত্রিধারা মিডিয়া প্রযোজিত নাটকটি ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাভিশনে প্রচার হবে।
একটি দৃশ্যে রুহী ও শতাব্দী ওয়াদুদপরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘নাটকটিতে দুটি সময়ের গল্প দেখানো হয়েছে। কাজটি করতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয়েছে শিল্পী-কলাকুশলীসহ পুরো ইউনিটের। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ যে, সবাই আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছেন। এই কাজটির মধ্যে একপ্রকারের দায়বদ্ধতা আছে বলে আমার বিশ্বাস। নাটকটি দেখার পর সকলের মধ্যে অন্য এক অনুভূতি কাজ করবে। আমরা সচরাচর মুক্তিযুদ্ধের যে ধরনের গল্প দেখতে পাই, তা থেকে এই নাটকটি অনেক আলাদা। একটা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের নাটক এটি।’