অভিনেত্রী-লেখক প্যাট্রিসিয়া বোসওয়ার্থকে কেড়ে নিলো করোনা

২০১৭ ও ১৯৭৯ সালে প্যাট্রিসিয়া বোসওয়ার্থহলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের সঙ্গে “দ্য নান’স স্টোরি” (১৯৫৯) ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্যাট্রিসিয়া বোসওয়ার্থ। পরে মারলন ব্রান্ডো ও মন্টগামারি ক্লিফ্টের মতো তারকাদের জীবন-কাহিনি লিখে সুনাম কুড়িয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে তিনি মারা গেছেন করোনাভাইরাসে। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

সৎ মেয়ে ফিয়া হাৎসাভ দি নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট নিউমোনিয়ায় গত ২ মার্চ মারা গেছেন বোসওয়ার্থ।
অভিনেত্রী জেন ফন্ডা ও বিখ্যাত আলোকচিত্রী ডায়ান আরবাসের জীবন-কথা লিখেছেন প্যাট্রিসিয়া বোসওয়ার্থ। ২০০৬ সালে তার লেখা গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘ফার: অ্যান ইমাজিনেরি পোর্ট্রেট অব ডায়ান আরবাস’। এতে অভিনয় করেছেন নিকোল কিডম্যান।
অভিনেতা লি স্ট্রাসবার্গের তত্ত্বাবধানে অ্যাক্টরস স্টুডিওতে অভিনয় শিখেছিলেন প্যাট্রিসিয়া বোসওয়ার্থ। একই সময়ে সেখানে দীক্ষা নিতেন মেরিলিন মনরো, পল নিউম্যান, স্টিভ ম্যাককুইন ও জেন ফন্ডা।
মঞ্চনাটকেও অভিনয় করেছেন বোসওয়ার্থ। এছাড়া টিভি সিরিজে দেখা গেছে তাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবিসি নেটওয়ার্কের ‘নেকেড সিটি’ ও ‘দ্য প্যাট্টি ডিউক’।
“দ্য নান’স স্টোরি’র দৃশ্যে অড্রে হেপবার্নের ডানে প্যাট্রিসিয়া বোসওয়ার্থঅভিনয় থেকে মনোযোগ সরিয়ে সাংবাদিকতায় ক্যারিয়ার গড়েন বোসওয়ার্থ। একজন সফল সম্পাদক ও লেখক হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। দি নিউ ইয়র্ক টাইমস ও নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনের জন্য লিখেছেন। স্ক্রিন স্টারস ও ম্যাককল’সসহ কয়েকটি প্রকাশনার সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন। ভ্যানিটি ফেয়ারে প্রদায়ক হিসেবে লিখতেন।
নিজের জীবনের স্মৃতিকথাও বাদ যায়নি। ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয় প্যাট্রিসিয়া বোসওয়ার্থের লেখা ‘অ্যানিথিং ইউর লিটল হার্ট ডিজায়ারস: অ্যান আমেরিকান ফ্যামিলি স্টোরি’। ২০১৭ সালে বাজারে আসে তার আরেক স্মৃতিকথা ‘দ্য মেন ইন মাই লাইফ: অ্যা মেমোয়ার অব লাভ অ্যান্ড আর্ট ইন নাইনটিন ফিফটিজ ম্যানহাটান’।