অন্তর্জালের এই আয়োজনের জন্য একত্র হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম উৎসবের তালিকায় প্রথমেই আছে কান, বার্লিন, ভেনিস ও টরন্টো। গুরুত্বপূর্ণ আরও তিনটি আয়োজন হলো ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসব, সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসব, বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এছাড়া আছে জেরুজালেম, মুম্বাই, সারায়েভো, সিডনি, টোকিও, মারাকেশ প্রভৃতি।
আগামী ২৯ মে শুরু হবে উৎসবটি। ১০ দিনের এই ডিজিটাল আয়োজনে থাকবে চলচ্চিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি, প্রামাণ্যটিত্র, গান, কমেডি ও কথোপকথন। আগামী মাসে পুরো সূচি প্রকাশ করা হবে। বিনামূল্যে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করলেও দর্শকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ তহবিলে অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
ট্রাইবেকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জেন রোজেনতাল বলেন, ‘সীমানা পেরিয়ে মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগাতে ও সংঘবদ্ধ করতে এবং বিশ্বকে ভালো রাখতে চলচ্চিত্রের অনন্য শক্তিশালী ভূমিকার কথা আমরা প্রায়ই বলি। এখনই বিশ্বের সবার ভালো থাকা প্রয়োজন। তাই আমাদের এই উদ্যোগ।’
গত মাসে কান কর্তৃপক্ষ ফ্রান্সে লকডাউনের কথা মাথায় রেখে তাদের আয়োজন পিছিয়ে দেয়। কানের সভাপতি পিয়েরে লেসকিউর ও পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো জানান, অনলাইন উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারলে ভালো লাগবে তাদের। তারা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ চলচ্চিত্র ও প্রতিভাবানদের তুলে ধরতে আমাদের অংশীদার উৎসবগুলোর সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমরা গর্বিত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গল্প বলার ধরন এবং প্রতিটি উৎসবের শৈল্পিক ব্যক্তিত্বদের কাজ দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স