এমনই একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সবার আগ্রহ, ঘটনা কী?
জানা গেল, অভিনেত্রী আলিয়া তখন রণবীরের বড় বোন রিধিমা কাপুর সাহানির সঙ্গে ফেসটাইমে যুক্ত ছিলেন। দিল্লিতে স্বামী-সন্তানের সঙ্গে থাকেন রিধিমা। আরোপিত অবরোধের (লকডাউন) কারণে আকাশপথে মুম্বাই উড়ে আসার সুযোগ নেই। অনেক চেষ্টার পর তিনি মুম্বাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার অনুমতি পেলেও বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে থাকা হয়নি তার। তাই যাত্রাপথে ভাইয়ের প্রেমিকার মাধ্যমে ফেসটাইমে বাবার বিদায় আয়োজনে যুক্ত হলেন রিধিমা।
লকডাউন সত্ত্বেও ঋষি কাপুরের শেষকৃত্যের কথা ভেবে রিধিমাকে সড়কপথে ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তার সঙ্গে রওনা দিয়েছেন স্বামী ভারত সাহানি, মেয়ে সামারা সাহানিসহ পরিবারের আরও দু’জন। উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি) আর পি মীনা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঋষি কাপুর ক্যানসারে ভুগে বৃহস্পতিবার ৩০ এপ্রিল সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। হাসপাতাল থেকে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের চন্দনওয়াড়ি শ্মশানে এদিন বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঋষি কাপুরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। লকডাউনের কারণে সড়কে ছিল পুলিশের কড়া নিরাপত্তা।
শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের পাশাপাশি ছিলেন আলিয়া, ঋষির বড় ভাই রণধীর কাপুর, ভাতিজি কারিনা কাপুর খান ও তার স্বামী সাইফ আলি খান। অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চনকেও দেখা গেছে শেষকৃত্যে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রত্যেকে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে বের হয়েছেন।
ইলেকট্রিক চেম্বারে গুণী এই অভিনেতার মরদেহ দাহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের প্রিয় ঋষি কাপুর লিউকোমিয়ার সঙ্গে দুই বছর লড়াইয়ের পর আজ সকাল পৌনে নয়টায় হাসপাতালে পরলোকগমন করেছেন। এস এন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের হাসিখুশি রেখেছেন। তিনি আনন্দের সঙ্গে দুই মহাদেশে দুই বছর ধরে চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। পরিবার, বন্ধু, খাবার ও চলচ্চিত্র তার মনোযোগের কেন্দ্রে থেকেছে। অসুস্থতা যেন পেয়ে না বসে সেজন্য তার মনোবল দেখে তার সংস্পর্শে আসা সবাই অবাক হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে ভক্তদের ভালোবাসার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ ছিলেন। কান্না নয়, সবাই হাসিমুখে স্মরণ করলে তার ভালো লাগবে।’
ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বলিউড, তামিল, তেলুগু, মারাঠি তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বর্তমান-সাবেক ক্রিকেটাররা শোক প্রকাশ করেছেন। সবার অভিমত, তার প্রয়াণে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হলো ভারতীয় সিনেমায়।
সূত্র: এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া