লকডাউনের ৫০ দিনে কণার ২৫টি কাজ

দিলশাদ নাহার কণাকরোনায় বন্ধ আছে বেশিরভাগ কাজ। শিল্পীরাও ঘরবন্দি। কিন্তু দিলশাদ নাহার কণার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খানিক ব্যতিক্রম।

১৩ মে সেলফ হোম কোয়ারেন্টিনের ৫৫তম দিন অতিক্রম করছেন এই শিল্পী। কিন্তু এরমধ্যেও থেমে নেই তার গানকেন্দ্রিক ব্যস্ততা। জানালেন, এরমধ্যে তিনি ৭টি গান, ১৬টি বিজ্ঞাপনের ভয়েসওভার ও দুটি জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন।
সব মিলিয়ে কাজের হিসাবটা ২৫-এর ওপরে। যা চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মোটেও কম নয়। যদিও স্বাভাবিক সময়ে এর কয়েকগুণ বেশি ব্যস্ত থাকেন ভার্সেটাইল এই শিল্পী।

কণা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাসায় থেকে শুধু ভয়েসটা দিচ্ছি। সব ঠিকঠাক থাকলে বেশিক্ষণ লাগছে না। কণ্ঠ দেওয়ার আগে অনুশীলনও করে নিচ্ছি। তাই সমস্যা হচ্ছে না। আর শুধু জিঙ্গেলই নয়, বৈশাখীর গান, মা দিবসের জন্যেও ঘরে বসে কণ্ঠ দিয়েছি।’


গত ৫০ দিনে বৈশাখ উপলক্ষে তিনটি গান ও করোনা নিয়ে দুটিসহ মোট ৭টি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কণা। বেশিরভাগই সম্মিলিত গান। বেশিরভাগ গানের সুর ও সংগীত করেছেন অদিত, ইমন চৌধুরী, নিধি, সন্ধি ও পাভেল।
এরমধ্যে করোনা ক্রান্তিকাল নিয়ে গেয়েছেন ‌‘ভালো থাকো বাংলাদেশ’ ও ‘দেবো পাড়ি এ আঁধার’ নামের গান দুটি।
এদিকে চলমান এই সময়টাকে আরও অর্থবহ করে তুলতে চান কণা। নিতে চান ভবিষ্যতের প্রস্তুতিও।
কণা বলেন, ‘ভাবছি, বাসায় পূর্ণাঙ্গ একটি স্টুডিও তৈরি করবো। কারণ, আমরা জানি না পরবর্তী সময়ে আমাদের কাজের ধরন আসলে কেমন হবে। তাই বাসায় একটা স্টুডিও পুরোপুরি প্রস্তুত করবো। যেটা এখন খুব মিস করছি।’