চলমান করোনাকাল জয় করার লক্ষ্যে ঘরে বসেই নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন শিল্পীরা। গান, নাচ, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, টকশো সঞ্চালনাসহ আরও কতো কী! তবে এসব করতে করতে একধাপ এগিয়ে গেছেন এদের মধ্যে কেউ কেউ। যারা রীতিমতো ঘরে বসে শুটিং-অভিনয়-সম্পাদনা করে সেটি আবার প্রকাশ করেছেন পেশাদার ভঙ্গিতে।
রাফী জানান, তাহসান-মিমকে নিয়ে ১৫ মিনিটের এই কাজটি শেষ করতে তাকে ভিডিওকলে যুক্ত থাকতে হয়েছে প্রায় ১৪ ঘণ্টা! কারণ, পুরো কাজটি হয়েছে ভিডিও কলের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে। তাছাড়া নায়ক-নায়িকা দুজন ছিলেন যার যার বাসায়।
জানা গেছে, এটি নির্মাণ হলো মিমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করার জন্য। মূলত চলমান লকডাউন সময়টাতে তিনি নিজের নামের এই চ্যানেলটির প্রতি মনোযোগী হয়েছেন।
মিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অনেক ছোট বাজেটের একটি কাজ। বলতে পারেন প্রযোজক হিসেবে এই ছোট কাজটির মাধ্যমে আমার অভিষেক হলো। তবে এই কাজটি করতে গিয়ে অনেক মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। যা আশাও করিনি। বিশেষ করে তাহসান ভাই, রাফী ভাই আর মাসুদ ভাই তো আমার এই কাজটির জন্য জীবন দিয়ে দিয়েছেন! উনাদের এফোর্ট ছাড়া এমন জটিল কাজ শেষ করা সম্ভব হতো না। কারণ, আমরা সবাই লকডাউনে।’
কাজটি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল মোশন রক-এর প্রধান মাসুদ উল হাসান।
কাজটি প্রসঙ্গে তাহসান বললেন, ‘ঘরে বসে শুটিং করা যায় এমন আইডিয়া মাথায় ঘুরছিল। মিম তার চ্যানেলের জন্য কাজটি করতে চাইলো। হয়ে গেল বাসা থেকেই শুটিং!’
এ কাজটির মাধ্যমে প্রায় দুই মাস পর শুটিং করলেন তাহসান-মিম দুজনেই। মিম বলেন, ‘টানা দুই মাস পর শুটিং করলাম, এটা একটা আনন্দের বিষয়। তবে শুটিং সেটে কাজ করতে যতটা সহজ লাগে, ঘরে থেকে সেটি বহুগুণ কঠিন।’
এদিকে রায়হান রাফী বলেন, ‘অনেক ঝড় যাচ্ছে ছোট এই কাজটি করতে গিয়ে। দুই দিনে প্রায় ১৪ ঘণ্টা আমি ভিডিও কনফারেন্সে ছিলাম। আমার অবস্থা চিন্তা করুন একবার। তবে যেমনটা চেয়েছি সেভাবেই কাজটি শেষ করতে পেরেছি। আমাদের মূল আনন্দ এখানেই। দেখা হবে ঈদ উৎসবে।’
‘কানেকশন’ মুক্তি পাবে ঈদ উৎসবে, মিমের ইউটিউব চ্যানেলে। শুটিং শেষে এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। প্রযোজক-নায়িকা মিম জানান, লকডাউনে আটকে পড়া দুটো মানুষের প্রেমের গল্পকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে এটি।