ঈদে সবচেয়ে বড় আয়োজন সিডি চয়েসের

নাটক ৯৯৯করোনাকাল, তাই অনেকের অনেক পরিকল্পনা থাকলেও সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন শিল্পী ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত খবরে তেমন আভাসই মিলছে।

তবে চলমান ঘরবন্দি সময়কে ছাপিয়ে দেশের অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিডি চয়েস ঈদে হাজির হয়েছে সর্বাধিক সংখ্যক গান ও নাটকের আয়োজন নিয়ে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জহিরুল ইসলাম সোহেল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এবারের ঈদে তারা প্রকাশ করছেন ২২টি গান এবং ৭টি নাটক। ২২টি গানের মধ্যে থাকছে ৫টি মিউজিক ভিডিও। এমন আয়োজন এই ঈদে দেশের আর কোনও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।

সিডি চয়েসের ব্যানারে ঈদের গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঝিলিকের ‘যাইয়ো না যাইয়ো না’, মিলন ও বৃষ্টির ডুয়েট ‘গ্রহণ করো’, কাজী শুভর ‘কুকিলরে তুই’, আল মামুনের ‘মনের মতো না’, তানজীব সারোয়ারের ‘আজকাল’, শাওন গানওয়ালার ‘প্রণয় ছায়া’, এফ এ সুমনের ‘বুকের দহন’, তাহসানের ‘অদৃশ্য পরজীবী’, হাসান শামসের ‘কেমন করে’, বেলাল খানের ‘অবুঝ’, মাহতিম শাকিবের ‘আমি তোমাকে হারাতে চাইনি’ ও ‘তোমায় আর ভাববো না’, ইলিয়াস ও অরিনের ‘না বলা কথা ৫’, আরিফ হুসেনের ‘ভুলবো না কখনো’, তাশরিফ খানের ‘উত্তর পাড়া দক্ষিণ পাড়া’, আসিফ ও নাবিলা রেহনুমার ‘প্রেম জল’, জুয়েল মোর্শেদ ও কণার ‘তুমি আমি’, অপূর্ব খানের ‘ও ময়না ও জাদু’, ইফতেখায়রুল ইসলামের ‘যেওনা দূরে’, মিনারের ‌‌‘খুনসুটি’, মিলনের ইসলামিক গান ‘তওবা করো’ এবং কাজী শুভর ইসলামিক গান ‘তোমরা পাবে জান্নাত’।
জহিরুল ইসলাম সোহেলগানের লম্বা তালিকার পাশাপাশি এই ঈদে সিডি চয়েসের ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত হবে তারকাবহুল ৭টি বিশেষ নাটক। এরমধ্যে রয়েছে- দীপু হাজরার ‘সাক্ষী হাজির’ ও ‘বউ নিখোঁজ’ নাটক দুটি। সরদার রোকনের ‘দহরম মহরম’, মেহেদী হাসান জনির ‌‘কালাচান ০০৭’, জুয়েল হাসানের ‘বড় জামাই’, মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘আনলিমিটেড প্যারা’ এবং শামীম জামানের ‘এক পাতিলের সংসার’
এবারের ঈদ আয়োজন প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জহিরুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমাদের আরও অনেক বড় পরিকল্পনা ছিলো এবারের ঈদকে ঘিরে। কিন্তু লকডাউনের কারণে অনেক কিছুই সম্ভব হয়নি। তবুও চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ আয়োজন করতে। আমার বিশ্বাস, সিডি চয়েসের গান ও নাটকগুলো গৃহবন্দি মানুষের মনে প্রশান্তি এনে দেবে।’