মুম্বাই মিরর পত্রিকাকে টনি জানান, প্রথমে তিনি ও সোনু মুম্বাই পাড়ি জমান। নেহা তখন উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করতেন।
টনির কথায়, ‘মুম্বাইয়ে আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাসা খোঁজা। ফ্ল্যাট কেনার মতো টাকা ছিল না আমাদের, তাই একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতাম। কিন্তু ভাড়া ছিল আকাশচুম্বী। আমাদের নির্দিষ্ট কোনও আয় হতো না। একদিন সোনু প্রথম গান গেয়ে ৫০০ রুপি পেলো। এরপর ধীরে ধীরে তার পারিশ্রমিক বাড়তে থাকলো। ফলে কোনোরকম দিন চলে যেতো। নেহা তখন ঋষিকেশ থেকে আমাদের জন্য টাকা পাঠাতো।’
টনি জানান, অল্প বয়স থেকে ঋষিকেশে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গান গাইতেন নেহা। তার প্রাণবন্ত গায়কীতে মানুষ মুগ্ধ হতো। চার বছর বয়স থেকেই তিনি পুরোদস্তুর পারফরমার। বেশিরভাগ সময় কনসার্টের কারণে ব্যস্ততা লেগেই থাকতো। এর ফাঁকে ভাইবোনকে নিয়ে চিত্তবিনোদনের পার্কে বেড়াতেন তিনি। টনি বলেন, ‘আমাদের তিন জনের জন্যই এটা ছিল সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ব্যাপার।’
গত মার্চে ঋষিকেশে কেনা একটি বাড়ির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন নেহা। একসময় একই শহরে একটি রুম ভাড়া করে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন ওই বাসার ছবিও। পুরনো বাড়িটিতেই ৩১ বছর বয়সী এই তারকার জন্ম।
ভারতে এখন গায়িকাদের মধ্যে নেহা কাক্বারের গানগুলোই সবচেয়ে বেশি বাজে। ইউটিউবে দর্শক-শ্রোতারা যেসব গায়িকার গান বেশি দেখেছেন, তাদের মধ্যে দুই নম্বরে আছেন নেহা। তার সামনে কেবল আমেরিকার র্যাপার কার্ডি বি।