অপূর্ব-মেহজাবীনের ইউনিটে করোনা, শুটিং স্থগিত

‘প্রাণপ্রিয়’র দুটি দৃশ্যসর্বোচ্চ সচেতন থেকেও অপূর্ব-মেহজাবীনের শুটিং ইউনিটে ধরা পড়েছে দুজন করোনা পজিটিভ। শুটিং হলো স্থগিত। পুরো ইউনিট গেছে সেলফ কোয়ারেন্টিনে। পজিটিভ দুজনের চলছে চিকিৎসা।

ঘটনা ৮ জুলাইয়ের। নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা মিজানুর রহমান অরিয়ান।
এতটা সচেতন হয়ে শুটিংয়ে যাওয়ার খবর এর আগে মেলেনি। যেমনটা করেছিলেন অপূর্ব-মেহজাবীনকে নিয়ে নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান। ৭ জুলাই তিনি শুরু করেন ঈদের নাটক ‘প্রাণপ্রিয়’র শুটিং।
তবে তার আগেই ২২ সদস্যের ইউনিটের প্রত্যেকের কোভিড টেস্ট করানো হয়েছে। প্রত্যেকের ফলাফল নেগেটিভ আসার পরই শুটিং শুরু হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, শুটিং স্থলে রাখা ছিল মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, অক্সিমিটার, এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডারও! কিন্তু শুটিংয়ের দুদিনের মাথায় দুজন সদস্যের শরীরে জ্বর ও কাশির লক্ষণ দেখা গেলে আবারও কোভিড টেস্ট করানো হয়। এবং ফলাফল আসে পজিটিভ। সঙ্গে সঙ্গে শুটিং করা হয় প্যাকআপ।
যার মধ্য দিয়ে পুরো ইউনিটের সদস্যদের মধ্যে চলছে এখন আতঙ্ক।
আরিয়ান জানান, নাটকটির মাত্র দুটি দৃশ্যের শুটিং বাকি ছিল। সেটি বাদ রেখেই শুটিং প্যাকআপ করা হয়।
আরিয়ান বলেন, ‘এটি আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই না। সর্বোচ্চ সচেতনতা নিয়েও এভাবে পরাজিত হবো, আমরা ইউনিটের কেউ ভাবিনি।’


এদিকে ইউনিট থেকে ভাঙা মন নিয়ে বাসায় ফিরে পরিবারের সবার থেকে আলাদা থাকা শুরু করেছেন অপূর্ব ও মেহজাবীন।
অপূর্বর বক্তব্য এমন, ‘সব রকমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শুটিংয়ে নেমেছিলাম। ইউনিটেও নিরাপত্তার কোনও ঘাটতি ছিল না। দুদিন খুব সুন্দরভাবে শুটিং করলাম। মাত্র দুটি দৃশ্য বাকি ছিল। কাজটা শেষ করা হলো না। অন্যদিকে মনের মধ্যে এখন ভয়। মনে হচ্ছে আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ। কোয়ারেন্টিনে আছি। দুই একদিনের মধ্যে আমি ও মেহজাবীন আবারও টেস্ট করবো। দেখা যাক, কী হয়।’
এদিকে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘মনটা বিষণ্ণ। এতদিন পর এত সচেতন হয়ে কাজটা করতে গেলাম, সেটা হলো না। বাসায় ফিরে এখন একলা ঘরে আছি। বিষয়টাকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছি না।’
‘প্রাণপ্রিয়’ নাটকটি ঈদের বিশেষ আয়োজন হিসেবে প্রযোজনা করছিল সিএমভি।