কারিনা কাপুর আরোপিত সৌন্দর্যে নন, তিনি বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই বিশ্বাসী। এমনকি অনেকে তাকে বলিউডের অন্যান্য অভিনেত্রীর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, কারিনাকে দেখতে অন্যদের তুলনায় বয়স্ক লাগে। কিন্তু এসবে কান দেন না এই অভিনেত্রী। তিনি বরং সূর্য নমস্কার আর ইয়োগাতেই ভরসা রাখতে চান।
শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুর পর কিছু বিষয় সামনে চলে এসেছে। জানা যায়, শেফালি বার্ধক্য রুখতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আর বোটক্স তো ছিল তার নিত্য সহচর।
এই আলোচনা সামনে আসতেই কারিনা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, তিনি একদমই বোটক্সের পক্ষে নন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কারিনা বলেন, ‘আমি বোটক্সের বিরুদ্ধে। আমি সম্পূর্ণরূপে আত্মরক্ষার পক্ষে, যা হলো সুস্থ থাকা, ভালো বোধ করা এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা নেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘চমৎকার একটি ছুটি কাটানো, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানো, সেটে উপস্থিত থাকাসহ অন্য কিছুতে ব্যস্ত থাকাও সূঁচের নিচে না গিয়ে আত্মরক্ষার এক ধরণের দারুণ উপায়। আমি বরং এটাই চাই।’
৪২ বছর বয়সে অভিনেত্রী ও মডেল শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুর পর, কারিনা নিজের সৌন্দর্য সচেতনতা নিয়ে ঠিক এভাবেই কথা বলেছেন।
বলা প্রয়োজন, ২৭ জুন মারা যান ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ খ্যাত শেফালি জারিওয়ালা। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, শেফালি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তার মৃত্যু হয়েছে রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ভারী পেটের সমস্যার কারণে। তবে সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
অভিনেত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আপাতত সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এতে কোনো ষড়যন্ত্র বা সন্দেহজনক দিক পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়। এমনকি প্রাথমিক তদন্তেও কোনো সন্দেহজনক বিষয় পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত এখনও চলছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল যে, শেফালি উপবাসের পর বাসি ভাজা ভাত খেয়েছিলেন এবং গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে বার্ধক্যরোধী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন যে, তিনি সম্প্রতি নিজে নিজেই বার্ধক্যরোধী ইনজেকশন নিচ্ছিলেন।
এখন পর্যন্ত, মুম্বাই পুলিশ সাতটি সিসিটিভি ফুটেজ নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং ১৪ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে পরিবারের সদস্য, গৃহকর্মী এবং অভিনেত্রী সাথে নিয়মিত যোগাযোগকারী অন্যান্য ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এমনকি শেফালি এবং তার পরিবার যে মেডিকেল স্টোর থেকে ওষুধ কিনেছিলেন, সেই ফার্মাসিস্টকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সুত্র: এনডিটিভি