নারিন্দা লেন ধরে জুলি যখন সামনে দিয়ে হাঁটে, গফুরের মনের মধ্যে তখন শতাধিক গিরিবাজ কবুতর পল্টি খায়। তার সামনে রেলিংয়ে পা ঝুলিয়ে জুলি খায় তরমুজ!
গফুর জানতে চায়, সে এত তরমুজ খায় কেন? জবাবে জুলি বলে, তরমুজ খেলে গায়ের রঙ সাদা হয়! গফুর এবার তরমুজ খাওয়া শুরু করে।
তরমুজ কিনতে কিনতে শেষ পর্যন্ত গফুর তরমুজের দোকানই দিয়ে বসে, প্রেমিকা জুলিকে খুশি করার জন্য। চতুর প্রেমিকা জুলি তবু খুশি হয় না। উল্টো মায়ের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করে বসে! তারপর জামাই নিয়ে গফুরের দোকানে কিনতে যায় তরমুজ। গল্পে নেয় নতুন মোড়।
গফুর আর জুলির অদ্ভুত এই প্রেমের গল্প নিয়ে হিমু আকরাম নির্মাণ করেছেন ঈদের নাটক ‘গফুর কাকার তরমুজ’। এতে গফুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান আর জুলির চরিত্রে সানজিদা প্রীতি।
নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য জাহিদ হাসানকে নিতে হয়েছে কালো মেকআপ। অভিনয়ের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যেমনটা করতে হয়নি তাকে। এছাড়াও তিনি চরিত্রের প্রয়োজনে যে পরিমাণ তরমুজ খেয়েছেন, তেমন ঘটনাও তার জীবনে আগে ঘটেনি বলে জানান এই অভিনেতা।
জাহিদ হাসান বলেন, ‘কালো চেহারার চরিত্রে প্রথম কাজ করেছি। মেকআপ করার পর নিজেকে নিজে চিনতে পারছিলাম না! এছাড়া গল্পের প্রয়োজনে প্রচুর তরমুজ খেতে হয়েছে আমাকে। চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা হলো। হিমু আকরামের সঙ্গে কাজ করে অনেক মজা। কারণ, তার গল্প ভাবনা বরাবরই আলাদা হয়।’
‘গফুর কাকার তরমুজ’ নাটকটি পরিচালনার পাশাপাশি রচনাও করেছেন হিমু আকরাম। তিনি বলেন, ‘গল্পটি প্রেমের ও মজার বটে। তবে এরমধ্যে বর্ণবাদের একটা গভীর বার্তাও আছে।’
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন শামীমা নাজনীন, ডা. এজাজ, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, সামিয়া, শফিক খান দিলু, রাজু আহসান প্রমুখ।
নাটকটি প্রচার হবে ঈদে, আরটিভির বিশেষ আয়োজনে।