এর অন্যতম তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঢাকার অপি করিম আর কলকাতার পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঋত্বিক চক্রবর্তী। তিন জনের একসঙ্গে এটাই প্রথম কোনও কাজ। আর এটি নির্মাণ করেছেন ভারতের ‘ফড়িং’-খ্যাত নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী।
আগামী ২৫ জুলাই সাংহাই উৎসবের উদ্বোধন হচ্ছে। প্রথম দিনেই এসএফসি সাংহাই ফিল্ম আর্ট সেন্টারের হল থ্রি’তে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হবে ‘মায়ার জঞ্জাল’। এছাড়া ২৯ জুলাই ও ১ আগস্ট ছবিটির আরও দুটি প্রদর্শনী হবে ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে।
চিংহাই প্রদেশের শিনাংয়ে উৎসব চলবে ৩ আগস্ট পর্যন্ত। কারণ, সেখানে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা চীনের অন্যান্য জায়গার তুলনায় কম।
ছবিটির প্রযোজক জসীম আহমেদ বলেন, ‘এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড বিভাগের প্রধান ইমেইলে খবরটি নিশ্চিত করেন। এরপর তো ডিসিপি ডেলিভারিসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার পেছনে বেশ ব্যস্ততা গেছে। তবে আমরা খুব আনন্দিত যে, এ-গ্রেডের তালিকাভুক্ত একটি উৎসবে আমাদের ছবিটির প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে। এবার দর্শককে আবারও সিনেমায় ফিরিয়ে নেওয়ার পালা!’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সাংহাইয়ের এবারের আসরে কোনও আন্তর্জাতিক জুরিকে আমন্ত্রণ জানানো যাচ্ছে না। তাই এবার সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা ছবিগুলোই এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড অফিসিয়াল সিলেকশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৯৩ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির আন্তর্জাতিক ফেডারেশনের (এফআইএপি) এ-গ্রেডের তালিকাভুক্ত বিশ্বের মাত্র ১৫টি উৎসব। সাংহাই সেগুলোরই একটি।
‘মায়ার জঞ্জাল’-এর মাধ্যমে ১৫ বছর পর বড় পর্দার জন্য কাজ করলেন বাংলাদেশের অন্যতম অভিনেত্রী অপি করিম। ছবিটিতে তার চরিত্রের নাম সোমা। মেয়েটি কলকাতার। সে বিবাহিতা। স্বামী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তার সংসার। তবে স্বামী বেকার। এ কারণে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসায় চাকরি করেন সোমা। তার স্বামী চাঁদু চরিত্রে আছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ‘ব্যাচেলর’ ছিল অপি করিমের প্রথম চলচ্চিত্র। এরপর আর বড় পর্দায় পাওয়া যায়নি তাকে। ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর মাধ্যমে আবারও চলচ্চিত্রে ফিরলেন তিনি।
২০১৩ সালে ‘ফড়িং’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় আসেন ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। এরপর টেলিভিশনের জন্য ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ ও ‘ভালোবাসার শহর’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি পরিচালনা করেন তিনি। পাঁচ বছর পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনায় ফিরলেন কলকাতার এই প্রশংসিত নির্মাতা।
ছবিটি প্রযোজনা করছেন বাংলাদেশি নির্মাতা জসীম আহমেদ। সহ-প্রযোজক হিসেবে আছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক। জসীম আহমেদ তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি পরিচালনা করে দেশ-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন। এগুলো হলো ‘দাগ’, ‘অ্যা পেয়ার অব স্যান্ডেল’ ও ‘চকোলেট’। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শর্টস ইন্টারন্যাশনালের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির বিশেষায়িত টিভি চ্যানেল শর্টস টিভি তার তিনটি ছবিই বিশ্বজুড়ে পরিবেশন করেছে।