দেখা হবে, তাই করোনাকালেও তাহসান ছুটে গেলেন নিউইয়র্ক!

চলমান দুই ঈদ অথবা করোনাকালের প্রায় পুরোটা জুড়েই ঢাকায় নিজ বাসায় ঘরবন্দি ছিলেন তাহসান। এরমধ্যে বিদ্যা সিনহা মিমের প্রযোজনায় নিজের ঘরে বসে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য কাজে অংশ নিয়েছেন। এর বাইরে দেশের অন্য প্রায় সব শিল্পী কাজে নামলেও করোনা প্রতিরোধে তাহসান ছিলেন হোম কোয়ারেন্টিনে অনড়।

একটি দৃশ্যে তাহসান ও মোনালিসাগেলো পাঁচ মাস এভাবে কাটিয়ে গত ১২ জুলাই অনেকটা নীরবেই ঢাকা থেকে সরাসরি উড়াল দিয়েছেন নিউইয়র্কে। বিশ্বের বুকে যে শহর করোনার ধকল সামলেছে সবচেয়ে বেশি। ফলে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতার এই সফর বিস্ময়কর বটে। জানা গেছে, এই সফরের অন্যতম কারণ ‘দেখা হবে’!
হুম, দেখা হয়েছে। ১৭ জুলাই দেখা হয়েছে তাহসানের সঙ্গে শুটিংয়ে! তাও টানা পাঁচ মাস পর। শুটিংয়ের সুবাদে আরও দেখা হলো আমেরিকা প্রবাসী নির্মাতা হিমেল আশরাফ ও মডেল মোনালিসার সঙ্গে। তিন জনে মিলে প্রথমবার কাজ করলেন ‘দেখা হবে’ নাটকের। যেটি প্রযোজনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিমু আকরাম, যিনি এখন নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকায়!
হিমু আকরাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, টানা দুই বছর পর হিমেল আশরাফ ও মোনালিসা শুটিংয়ে ফিরেছেন। আর তিনি নিজেও প্রযোজনা করলেন প্রায় এক বছর পর। এটি তার চতুর্থ প্রযোজনা।
তার ভাষ্য, ‘আমি আসলে গল্পের পাগল। গল্প পছন্দ হলে প্রযোজনা, পরিচালনা সবই করতে প্রস্তুত হই। তো হিমেলের কাছে মুনতাহা বৃত্তা রচিত এই গল্পটি শোনার পর আমি অস্থির হই। গল্পটা দারুণ। এরপর কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিই। কৃতজ্ঞতা তাহসান ভাইয়ের প্রতি। তিনি কাজটিকে বিশ্বাস করে এতদূর উড়ে গেছেন।’
ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে ‘দেখা হবে’। ১৭ জুলাই থেকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান, লং আইল্যান্ড, কোনি আইল্যান্ড, ডাম্বো, কুইনস ভিলেজ ও টাইমস স্কয়ারে টানা তিন দিন শুটিং হয়েছে নাটকটির।
গল্পটি প্রসঙ্গে হিমেল আশরাফ জানান, ছেলেটা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সাবেক প্রেমিকা গোপনে দেখতে আসে তাকে। পাশে দাঁড়ায়। গোপনে খাবার, ওষুধ আর চিরকুট দিতে থাকে দরজার ওপাশ থেকে। পুরনো প্রেমিকার হাতের লেখা, রান্নাকরা খাবার, চিরকুটে পারফিউমের ঘ্রাণ−ভুল ভাঙে ছেলেটির।
এই মেয়েটি হলো মোনালিসা আর ছেলেটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহসান।
পরিচালক হিমেল বলেন, ‘সবাই জানেন করোনার সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা গেছে নিউইয়র্কের ওপর দিয়ে। আমি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছি। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। তবে সেই ট্রমা থেকে এখানকার মানুষ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরমধ্যেই আমরা শুটিং করেছি। এখানকার সবাই খুব হেল্প করেছেন। আর আমার দুই শিল্পী তো অসাধারণ!’

জানা গেছে, শিগগিরই তাহসান ঢাকায় ফিরছেন না। দুই একদিনের মধ্যে নিউইয়র্ক থেকে ব্যক্তিগত কাজে চলে যাবেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। সেখান থেকে ঢাকায় ফিরছেন কবে নাগাদ, জানা যায়নি।