সাবেক স্ত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে থানায় জিডি করলেন অপূর্ব

যখন একসঙ্গে অপূর্ব-অদিতি-আয়াশ (ফাইল ছবি)অবশেষে আইন ও পুলিশের দ্বারস্থ হলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। নিজের জন্য নয়, সাবেক স্ত্রী অদিতিকে ঘিরেই তার এই অবস্থান।

অপূর্ব আগেই সতর্ক করেছেন, সাবেক স্ত্রী অদিতিকে অকারণে হেনস্তার বিষয়টিকে তিনি সরল দৃষ্টিতে দেখছেন না। কারণ ব্যক্তিগত কারণে স্ত্রী সাবেক হলেও, অদিতি তার একমাত্র সন্তানের মা। ফলে সন্তানের মাকে কেউ বিনা কারণে অসম্মান করলে সেটিকে একচুলও ছাড় দিতে রাজি নন এই অভিনেতা।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ (২৫ জুলাই) দুপুর নাগাদ অপূর্ব উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারণ ডায়রি বা অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে উল্লেখ করেছেন বেশ কটি অনলাইন পত্রিকা ও ইউটিউব চ্যানেলের নাম। যেগুলোর মাধ্যমে গত ২২ জুলাই থেকে অদিতিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কুরুচিপূর্ণ সংবাদের মাধ্যমে হেনস্তা করা হয়েছে বলে দাবি করলেন অপূর্ব।
এ প্রসঙ্গে অপূর্ব শনিবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বলেন, ‘গত ২২/৭/২০২০ তারিখ হতে কিছু ভুয়া অনলাইন পত্রিকা অত্যন্ত জঘন্য একটি মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায় আয়াশের মা অদিতির বিরুদ্ধে। আগেই বলেছি, ঐ সকল অনলাইন পত্রিকা এবং ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবো। সেই প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে আমি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় উপস্থিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।’

তিনি আরও জানান, সিটিটিসি-সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরামর্শক্রমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় উত্তরা পূর্ব থানায় তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে সিটিটিসি-সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের এডিসি নাজমুল সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‌‌‘অপূর্ব সাহেব আজ দুপুরে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে এসেছেন। আমরা পরামর্শ দিয়েছি উনার বাসার এলাকার থানায়, মানে উত্তরা পূর্ব থানায় এই অভিযোগটি জমা দিতে। থানা থেকে তদন্ত হয়ে আমাদের কাছে এলে সেটিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখবো। এটাই মূলত মামলা দায়েরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।’




প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত বেশ কিছু অনলাইন মাধ্যমে অপূর্বর সাবেক স্ত্রী অদিতি ও রিজেন্ট সাহেদকে ঘিরে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশ হয়। বলা হয়, অপূর্বর সঙ্গে অদিতির ৯ বছরের সংসার বিচ্ছেদ হওয়ার অন্যতম কারণ এটি।
আর এমন খবরের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বেশ সোচ্চার অপূর্ব। ২২ জুলাই এমন খবরের প্রতিবাদে এই অভিনেতা বলেন, ‘কোনও ধরনের ভনিতা না রেখেই বলছি গত দুইদিন থেকে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ভুঁইফোঁড় অনলাইন পত্রিকা কোনও ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আমার সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি এবং আমার বিচ্ছেদের ব্যাপারে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। যা আমার ও অদিতির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। আমি আগেও বলেছিলাম অদিতির সাথে আমি এখন সাংসারিক জীবনে না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা। সুতরাং অদিতির সম্মান নিয়ে বা অদিতির নামের সাথে জড়িয়ে তৃতীয় কারও নাম নিয়ে যে বা যারা নোংরা খেলায় মাতবে এদের কাউকেই আমি ছেড়ে কথা বলবো না।’

নাজিয়ার সঙ্গে দারুণ পথচলা অনাহূত কারণে ঘুরে গেছে: অপূর্ব

তারই প্রমাণ মিললো ২৫ জুলাই আইসিটি আইনে মামলা দায়েরের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৪ জুলাই নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন অপূর্ব। চলতি বছরের ১৭ মে জানা গেলো তারা আর একসঙ্গে থাকছেন না। দুজনার একমাত্র সন্তান আয়াশ। যে কিনা বাবার সঙ্গে অভিনয় করে এরইমধ্যে বনে গেছেন তারকা! অন্যদিকে নাট্যকার হিসেবেও অদিতির পরিচিতি মন্দ হয়নি। যদিও ছোট ছোট এই সুখের গল্পগুলো এখন আর এক সুতোয় বাঁধা নেই।