এবার হলো সংগীত পরিচালকদের সংগঠন

সংগঠনটির উপদেষ্টা ও আহ্বায়ক কমিটির কয়েকজন সদস্যক’দিন আগে সংঘবদ্ধ হয়ে চমক দেখালেন দেশের সিংহভাগ গীতিকবি। কারণ, সংগীতাঙ্গনে গীতিকার-সুরকার-শিল্পীদের কোনও সংগঠন নেই। সেই প্রেক্ষাপটে সবার আগে এক হলেন গীতিকবিরা। ঘোষণা এলো ‘গীতিকবি সংঘ’ নামের একটি সংগঠনের।
দেরিতে হলেও গীতিকবিদের এই উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে দেশের প্রায় সব সংগীত সংশ্লিষ্টরা। তারই রেশ মিললো এবার সুরকার-সংগীত পরিচালকদের তরফ থেকে। গঠিত হলো ‘মিউজিক কম্পোজার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’।
এর সঙ্গে জড়িত অন্যতম সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মূলত এমন একটি সংগঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত আজাদ রহমান। সঙ্গে আমিও ছিলাম। আমরা তখন একটা কমিটিও করি। সেখানে আজাদ ভাই সভাপতি আর আমি সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু সেটি প্রকাশ করার আগেই আজাদ ভাই চলে গেলেন (১৬ মে, ২০২০)। মূলত সেই অসম্পূর্ণ উদ্যোগটিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছি এখন।’
ফরিদ আহমেদ আরও জানান, সুরকার ও সংগীত পরিচালকদের পেশাগত এবং সামাজিক সমস্যার সমাধানে একটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা বোধ হচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। যে সংগঠন দেশের সংগীতের উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে। সেই লক্ষ্যে আজাদ রহমানের উদ্যোগে দেশের শীর্ষস্থানীয় সুরকার ও সংগীত পরিচালকগণ বেশ কয়েক মাস ধরে কাজ করছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় এক সভায় ঘোষণা করা হয় ‘মিউজিক কম্পোজার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর নাম।

গীতিকবি সংঘ’র আত্মপ্রকাশ

উক্ত সভায় শেখ সাদী খানকে প্রধান আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের কমিটি চূড়ান্ত করা হয়। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন নকীব খান, আনিসুর রহমান তনু, ফরিদ আহমেদ, ফোয়াদ নাসের বাবু, রিপন খান, শওকত আলী ইমন, পার্থ বড়ুয়া, এস আই টুটুল, পার্থ মজুমদার ও বাপ্পা মজুমদার।
জানা যায়, জ্যেষ্ঠ সংগীত পরিচালক আলী হোসেন, আলম খান, মো. শাহ্ নেওয়াজ প্রমুখ এই সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে থাকছেন।