স্মরণে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর

প্রস্থানের ৯ বছর: দুই দিনের বিশেষ আয়োজন

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনী২০১১ সালের এই দিনে (১৩ আগস্ট) মানিকগঞ্জের জোকায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন বরেণ্য চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, চিত্রগ্রাহক ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ আরও তিন জন চলচ্চিত্রকর্মী।
তরুণ নির্মাতাদের কাছে তারেক মাসুদ ছিলেন এক স্বপ্নের নাম। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সংগঠন তার মৃত্যু দিনে প্রতি বছরই আয়োজন করে স্মরণসভার। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এই করোনাকালেও।
শোকাবহ এ দিনটি স্মরণে ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি ও তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট যৌথভাবে স্মৃতিতর্পণ ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল (১২ আগস্ট) রাত ৯টায় অনলাইনে স্মরণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনাটি ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি প্রচার হয়।
স্মৃতিতর্পণে অংশগ্রহণে ছিলেন তারেক মাসুদের সহধর্মিণী চলচ্চিত্রকার ক্যাথরিন মাসুদ, চলচ্চিত্র গবেষক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, সাংবাদিক আসিফ মুনীর, শব্দগ্রাহক নাহিদ মাসুদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান ও ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন মামুন।


অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আজ (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সড়কদ্বীপে সংরক্ষিত তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মরণে সড়ক দুর্ঘটনা স্মৃতি স্থাপনায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সড়ক ও মহাসড়কে নিহত সব মানুষকে স্মরণ করা হবে। আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
তারেক মাসুদ তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’র জন্য ২০০২ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেন। তার অন্য দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলো—‘অন্তর্যাত্রা’ ও ‘রানওয়ে’। এছাড়া ‘মুক্তির কথা’, ‘আদমসুরত’, ‘মুক্তির গান’, ‘আ কাইন্ড অফ চাইল্ডহুড’, ‘নারীর কথা’সহ আলোচিত কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন তারেক মাসুদ। যার বেশিরভাগ ছবির সিনেমাটোগ্রাফারের কাজ করেছেন মিশুক মুনীর।