স্মৃতি ফামি জানান, বৈশ্বিক বাস্তবতায় সিনেমা নির্মাণ ও চিত্রনাট্য তৈরির বিষয়ে তিনি বইটি লিখেছেন। আর সেটি লেখার পেছনে রয়েছে ৯০ দশক থেকে ক্যামেরার সামনে কাজ করার অভিজ্ঞতা আর এই বিষয়ে ১৬ বছরের উচ্চতর শিক্ষাজীবন।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জনপ্রিয় এই টিভি মুখ পুরো বইটি লিখেছেন সেলফ কোয়ারেন্টিনে থেকে। বললেন, ‘টানা ১০০ দিন লেগেছে বইটি লেখা শুরু ও শেষ করতে। লকডাউনে না পড়লে হয়তো এত দ্রুত শেষ করা যেতো না। নিজের অভিজ্ঞতা আর পড়াশোনা মিলিয়ে আমি অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এমন একটি বই লেখার। যা মিডিয়া কর্মীদের কাজে আসবে। অবশেষে সেটি করতে পেরে খুব আরাম বোধ করছি। নিজেকে হালকা লাগছে।’
স্মৃতি ফামি লন্ডন থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লন্ডনের অক্সফোর্ড আর আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটেই বইটি স্থান পাচ্ছে, তা কিন্তু নয়। এটি স্থান পাবে ক্যামব্রিজ আর ওয়েলস ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতেও। শিক্ষার্থীরা সেই বই পড়ে সিনেমা বিষয়ক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে কিছু হলেও শিখতে পারবে।’
এদিকে লন্ডনের লকডাউনের সময়টাতে লেখক হিসেবে নিজেকে শতভাগ সঁপে দিলেও তার মন উচাটন হয়ে আছে দেশে ফেরার। মানে শুটিংয়ে ফিরতে চান আবারও। কারণ, গেল ঈদে আরটিভিতে প্রচার হওয়া ‘অন্তঃঋণ’ নাটক থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছেন দর্শক-সমালোচকদের পক্ষ থেকে।
লম্বা বিরতির পর এক নাটকেই বাজিমাত করলেন স্মৃতি, তা কিন্তু নয়। তারও কিছু আগে বাংলাদেশের প্রধান তারকা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে স্মৃতিকাতর করেছেন টিভি দর্শকদের। এই কাতরতা ৯০ দশকের টিভিমুখ স্মৃতি ফামিকে ফিরে পাওয়ার মুগ্ধতায়।
তারও আগে, লন্ডনে স্মৃতি ফামি সুখের সংসার গুছিয়ে রেখেছেন সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদকে ঘিরে। লকডাউন শেষে নতুন দুনিয়ায় দুজনের প্ল্যান, ‘ভার্চুয়াল রিয়েলিটি’ প্রকাশের পর ঢাকা-কলকাতা-লন্ডন মিলিয়ে বেশ কিছু নাটক, সিনেমা ও সংগীতভিত্তিক প্রজেক্ট করার। যার মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে তুলে ধরবেন বিশ্বের চোখে।