এবার আর সুন্দরবন নয়, সদরঘাট!

এই লঞ্চেই বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে ছবিটির২৫ দিনের জন্য নায়ক-নায়িকা-নির্মাতা ও কলাকুশলী লঞ্চে উঠেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, সুন্দরবন থেকে শুটিং শেষ করে ফেরা। তবে করোনার কারণে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ নামের এ ছবিটির কাজ তারা শেষ করতে পারেননি।
উল্টো ঢাকার মাটিতে পা ফেলার শর্ত হিসেবে লকডাউনের কারণে টানা ২০ দিন লঞ্চে করে জলে ভাসতে হলো পুরো ইউনিটকে। এ দলে ছিলেন পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল, চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ, নায়িকা পরীমনিসহ ১২০ জন সদস্য।
অবশেষে তারা আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এবার আর সুন্দরবন নয়, সদরঘাটসহ বুড়িগঙ্গার বিভিন্ন স্থানে করতে চান বাকি কাজটুকু। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল।
তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক শিশুশিল্পী আছে। তাদের চেহারা ও উচ্চতা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আমার বাচ্চারই উচ্চতা দুই ইঞ্চি বেড়ে গেছে! তাই দ্রুত শুটিং শেষ করতে চাই। আগামী মাসের ২ তারিখ থেকে শুটিংয়ে যাচ্ছি আমরা। সদরঘাটসহ বেশ কিছু স্থানে ১০ দিন শুটিং করবো। লঞ্চের একটি অংশের জন্য শুধু খুলনা যেতে হবে।’
সদরঘাট: মহরত অনুষ্ঠানে শিল্পী-কুশলীরা
এই পর্বেও শিশুশিল্পীদের সঙ্গে থাকছেন সিনেমার প্রধান দুই মুখ সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি।

গত ১৪ মার্চ ঢাকার সদরঘাট থেকে ভাড়া করা লঞ্চ নিয়ে শুটিংয়ে গিয়েছিলো ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ টিম। মূল শিল্পী ছাড়াও একঝাঁক শিশু ছিল তাদের সঙ্গে। লক্ষ্য ছিল, টানা ২৫ দিনের শুটিং-ট্যুর শেষ করে ঢাকায় ফিরবে লঞ্চটি। পরিচালকের পরিকল্পনা ছিল, শতভাগ কাজ শেষ করেই ঢাকায় ফেরার। তবে তা হয়নি। থেকে যায় ৮ দিনের শুটিং।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটি। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছে বঙ্গ।সদরঘাট: মহরত অনুষ্ঠানে শিল্পী-কুশলীরা