এবার বাংলার ম্যানগ্রোভ বন ও তার তীরবর্তী জীবনযাপনের দৃশ্যপট নিয়ে তৈরি ‘নোনাজলের কাব্য’-এ এই ভূমিকায় হাজির হয়েছেন তিনি। আবহসংগীতসহ পুরো ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব।
ছবিটি সম্প্রতি ৬৪তম বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রাথমিক তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছে। রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত এই চলচ্চিত্র প্রশংসা কুড়াচ্ছে দর্শক ও সমালোচকদের। এ উপলক্ষে ছবিটি নিয়ে গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই ছবিটিতে অর্ণবের কাজ করার প্রসঙ্গটিও জানা যায়।
সেখানে যুক্ত হন অর্ণব, ছবির অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু, তিতাস জিয়াসহ অনেকে।
জানা যায়, বছর পাঁচেক আগে অর্ণব ও পরিচালক সুমিত বসেছিলেন। তারপর ছবিটির প্রেক্ষাপট পছন্দ হয় অর্ণবের।
এ গায়কের ভাষ্য, ‘ছবিটির পাণ্ডুলিপি ও পরিচালকের উপস্থাপনা শুনে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। অনেক নির্মাতাই তাদের পরিকল্পনার কথা সংগীত পরিচালককে শেয়ার করেন না। কিন্তু সুমিত পুরোটাই আমার কাছে বলেছিলেন। যেহেতু ছবি সম্পর্কে পুরো ধারণাই আমার কাছে ছিল তাই এতে কাজ করতে সমস্যা হয়নি।’
এদিকে ৭-১৮ অক্টোবর যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এবারের আসর। করোনা পরিস্থিতির কারণে ভার্চুয়াল ও ফিজিক্যালি ৫৮টি ছবি দেখানো হবে। এরমধ্যে অনলাইনে থাকছে ৪৪টি ছবি, তার একটি রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের প্রথম সিনেমা ‘নোনাজলের কাব্য’।
‘নোনাজলের কাব্য’র চিত্রনাট্য লেখা ও সরেজমিন গবেষণা চলে চার বছর ধরে। চিত্রনাট্যের জন্য এ ছবি পেয়েছিল ‘স্পাইক লি রাইটিং গ্রান্ট’। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই অর্ধশতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী মিলে পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামে শুটিং শুরু হয়ে একই বছরের সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে শেষ হয়।
‘নোনাজলের কাব্য’ সরকারি অনুদান পেয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। আরও প্রায় ৭৫ লাখ টাকা এসেছিল ফরাসি সরকারের সিএনসির সিনেমা ‘দ্যু মন্ড গ্রান্ট’ থেকে।
সর্বশেষ গত জুলাইয়ে ছবিটি পায় টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স ডিজাইন ফান্ড ২০২০। এর অধীনে সুমিত তার চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পেয়েছেন ৪৫ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকার সমান।