শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বনানী কবরস্থান থেকে ফিরতি পথে জানালেন মনের কিছু কথা। সবার উদ্দেশে বললেন, ‘বন্ধুরা আমার জন্য দুঃখ করবেন না। কারণ, আমি বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ।’
স্মৃতিকাতর শৈশবের কথা টেনে ইরেশ বলেন, ‘ছোটবেলায় শিশুরা যেমন করে, আমরা তেমন আনন্দ করেছিলাম শেষ কয়েক মাস। এবং এই সুযোগে বাবার ছবি তোলার সময় ও আনন্দ পেয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা, ৪৪ বছরের এই জীবনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তির সন্তান হতে পেরেছি। এটা আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।’
এজন্যই ইরেশ যাকের সেই আনন্দ থেকে নিজেকে আর বঞ্চিত করতে চান না। অনুরোধ, ‘তার (আলী যাকের) এই অনুপস্থিতির জন্য আমি কষ্ট পাচ্ছি, তবে আমার জন্য কেউ দুঃখ করবেন না। কারণ, আমি বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ।’
এমন বার্তার পাশাপাশি দুই সপ্তাহ আগে রতনপুরে নিজের তোলা আলী যাকেরের একটি ছবি প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দ্য লাস্ট পোট্রেইট আই মেড অব হিজ।’
দুদিন আগে করোনা পজিটিভ, তারও চার বছর আগে ক্যানসার বাসা বেঁধেছিল একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আলী যাকেরের সুঠাম শরীরে। সেই সূত্রে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই শব্দসৈনিক।
একই দিন বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয় তার। তারও আগে দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে তাকে জানানো হয় গার্ড অব অনার ও ফুলেল শ্রদ্ধা।