গত ৬ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় তমার স্বামী হিশাম চিশতি এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তার বাবা, মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের একজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার ধারা নং ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/১০৯।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাড্ডা থানার সাব ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমা (তমা মির্জা) ও হিশাম চিশতির মধ্যে প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে বাবা-মায়ের প্ররোচনায় হিশামের কাছ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন তমা। সেই ধারের টাকা ফেরত চাইলে কালক্ষেপণ শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হিশাম কানাডা থেকে দেশে এসে তমাকে তার নিজের বাসায় এসে থাকতে বলেন। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে তার বাসায় না গিয়ে বাবার বাসাতেই থাকেন।
তমা মির্জা গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি এড়িয়ে যান, ‘মামলার বিষয়ে তো কিছু হয়নি। আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে, এটা ঠিক। সেটা সুরাহার জন্য উভয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। বিষয়টি একান্তই আমাদের পারিবারিক বিষয়।’
এদিকে তমা মির্জার স্বামী হিশাম চিশতি মামলা করার কয়েকদিন পরই কানাডায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে সাব ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহমুদুল হাসান জানান, মামলা একটি নয়। এই বিষয়ে দুটি মামলা হয়েছে। চিত্রনায়িকা তমা মির্জাও তার স্বামীর নামে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেছেন। ৫ ডিসেম্বর দায়ের করা এই মামলাটি হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং যৌতুক জন্য মারপিটসহ হুমকি প্রদানের অভিযোগে।
তমা-হিশামের বিয়ে হয় গত বছরের শুরুর দিকে।
হিশাম চিশতি পেশায় ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালে কানাডার পাবলিক চয়েস রিয়েলটি ব্রোকারেজের পক্ষ থেকে টপ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন তিনি। ২০১৮ সালে কানাডায় কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
তমা মির্জা শাহনেওয়াজ কাকলীর ‘নদীজন’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। ‘বলো না তুমি আমার’ ছবির সুবাদে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। কাজ করেছেন ‘মনে বড় কষ্ট’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘অহংকার’, ‘চল পালাই’, ‘গেইম রিটার্নস’, ‘গ্রাস’সহ আরও কয়েকটি ছবিতে।