সবাই গানটি কভার করতে পারবেন: প্রিন্স মাহমুদ

প্রিন্স মাহমুদ/ ছবি: কৌশিক ইকবালসম্ভবত এই উদার অনুমতি-কাল অতিক্রম করে ফেলেছে বাংলাদেশ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি। সেটি স্পষ্ট অনুভব করা গেছে চলমান মহামারিতে! ছোটতে-বড়তে এই নিয়ে হয়েছে বেজায় হট্টগোল। দূর থেকে বেড়েছে প্রজন্মের আরও দূরত্ব।
সেই অসহিষ্ণু সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে- একেবারে নতুন একটি গান সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিয়ে প্রিন্স মাহমুদের উদাত্ত আহ্বান, ‘সবাই গানটি কভার করতে পারবেন।’
সঙ্গে অনুরোধের সুর লাগিয়ে এটুকুও বলেন তিনি, ‘সুর আর গানের কথা ভালোকরে শুনে এবং ভিডিও দেখে লিখে নেবেন। তারপর গাইবেন।’
নিজের কথা-সুরে গাঁথা তানযীর তুহীনের কণ্ঠে ‘আলো’ নামের এই গানটি প্রকাশ হলো ১৭ ডিসেম্বর জি-সিরিজের ব্যানারে।
নিজ স্টুডিওতে প্রিন্স মাহমুদসম্ভবত করোনাকালে মানুষের অসহায়ত্ব আর চারপাশের মৃত্যুসংবাদের খেয়াল থেকে গানটি বেঁধেছেন রকাধুনিক বাংলা সংগীতের প্রিন্স। সেই আবেগেই গানটির ডেমো ভার্সন কিছুদিন আগে তিনি প্রকাশ করেন ফেসবুকে। মুহূর্তে পান অভাবনীয় সাড়া। ধারণা করা হয়, এই সংগীত স্রষ্টার কালজয়ী সৃষ্টি ‘বাবা’, ‘মা’, ‘বাংলাদেশ’, ‘মাটি হবো মাটি’ ঘরানার গানগুলোর তালিকায় যুক্ত হয়ে রবে ‘আলো’।
প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘খেয়ালী সময়, খোশখেয়ালে তানজীর তুহীনের গাওয়া এই গানটি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেই অসমাপ্ত গানটাই শ্রোতা এমনভাবে তাদের নিজের গান করে নেবেন, বুঝতে পারিনি। আসলেই চোখ ধরে আসছে। সামান্য ঠিকঠাক করে তাই জি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে সবার জন্য আনলাম। এভাবেই সবার ভেতরে দাগ কেটে যেতে চাই, দাগটাই থেকে যায়।’
যেন প্রতিধ্বনিত হলো তারই অনন্য সৃষ্টি ‘দাগ থেকে যায়’ মিশ্র অ্যালবামের নামটি। যে তালিকায় আরও চলে আসে নব্বই দশক মাত করা ‘শক্তি’, ‘ওরা এগার জন’, ‘ক্ষমা’, ‘ঘৃণা’, ‘ব্যবধান’, ‘শেষ দেখা’, ‘এখনও দু’চোখে বন্যা’, ‘স্রোত’, ‘দেয়াল’, ‘হারজিৎ’, ‘পিয়ানো’ প্রভৃতি।
প্রিন্স মাহমুদের কথা-সুরে ‌‘আলো’র কথাগুলো এমন- এই আলো হাওয়ার মায়া কাটিয়ে/ এই জগত বাড়ির মায়া কাঁটিয়ে/ চলে যাবো ভাবতেই চোখ ভরে আসে/ এই ভালো মন্দেও ভালো থাকা/ প্রিয় মুখগুলো বুক জাপটে রাখা/ ফেলে যাবো ভাবতেই চোখ ভরে আসে।
প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করলেন তানযীর তুহীন। ব্যান্ড শিরোনামহীন-ছুট এই শিল্পী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা আমার সৌভাগ্য যে, উনার (প্রিন্স মাহমুদ) সঙ্গে কাজ করলাম। উনার মধ্যে শিশুসুলভ একটা বিষয় আছে। এটা ভীষণ ভালো লাগে। আমি কৃতজ্ঞ গানটির জন্য।’
পুরো গান: