করোনাজয়ীর ভাষ্যে নতুন বছর

মিডিয়া নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই

চলছে করোনাকাল। ২০২০ পেরিয়ে আরও একটি বছর যুক্ত হলো মানুষের জীবনে। সেই সূত্রে করোনায় বিপর্যস্ত মানব সভ্যতা ফের স্বপ্ন দেখছে ঘুরে দাঁড়ানোর। নতুন বছরের বিশেষ আয়োজনে বাংলা ট্রিবিউন বিনোদন বিভাগ চেষ্টা করেছে তাদের গল্প শোনাতে, যারা করোনাভাইরাসের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন। পেয়েছেন জয়। তেমনই একজন অভিনেতা নায়করাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য খালিদ হোসাইন সম্রাট—বাবা পরিচালক (বামে), ছেলে নায়ক (ডানে)

 সারাটা বছর বেশ গুটিয়ে রেখেছিলাম নিজেদের। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

নভেম্বরের ২০ তারিখে আমার স্ত্রীর কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তা মেয়ে ও আমার মধ্যে সংক্রমিত হয়। এরপর বাপ্পারাজ ভাইয়া ও তার স্ত্রীও আক্রান্ত হন। মোটামুটি পরিবারের সবাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হই।












এরমধ্যে প্রথম যখন আমার স্ত্রীর টেস্ট পজিটিভ আসে, সঙ্গে সঙ্গে আম্মাকে বোনের বাসায় পাঠিয়ে দিই। এতে আম্মাকে সেভ করা গেছে।
অন্যদিকে, সে সময়টাতে আমাদের বাসার প্রায় সবাই করোনা আক্রান্ত। তাই নিজেরাই নিজেদের সময় দিয়েছি। বলা যায় মোটিভেট করেছি। বাচ্চাদের বেশি সময় দিতাম। নিজেদের প্রগ্রেসগুলোর সবাই খোঁজ নিতাম। মোটামুটি এটা একটা টিম ওয়ার্ক ছিল। সে সময়টাতে খুব একটা কষ্ট হয়নি।
২০২০-এ নতুন ব্যবসা দাঁড় করানো চেষ্টা করেছি। করোনাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ২০২১ সালের পরিকল্পনা বলতে কিছু নেই। সৃষ্টিকর্তাই বড় পরিকল্পক। যদি তিনি রিজিক দেন, ভালো কিছু হবে। তবে আমাদের সবাইকে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে।নায়করাজ পরিবার
এই বছর চলচ্চিত্রকেন্দ্রিক কোনও পরিকল্পনা আমার নেই। গত দুই বছর ধরে আমি একেবারেই দূরে আছি। কেউ আমাকে ডাকেনি বা আমিও কাজ করার উদ্যোগ নিইনি। চলচ্চিত্রের এখন যে অবস্থা, তাতে আমি যে বিনিয়োগ করবো, সে অবস্থাও নেই। আমি তো আর বড় বিনিয়োগকারীও নই যে একের পর এক ইনভেস্ট করে টাকাটা উঠিয়ে আনবো। আমার রিসোর্সও কম।

মিডিয়া নিয়ে ২০২১ সালে কোনও পরিকল্পনা নেই।
তাই নতুন ধরনের ব্যবসার মধ্যেই ডুবে থাকতে হবে। সবাই মিলে ২০২১টা ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।