দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ এবং আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো সবার সামনে তুলে ধরার জন্য অসাধারণ গতি ও মমতা নিয়ে ছুটে চলেছেন নন্দিত নির্মাতা-উপস্থাপক হানিফ সংকেত।
তার সেই গতি এবার স্থির হলো বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়। ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে সেখানকার সুনীল সাগরের কোলে গড়ে ওঠা নান্দনিক স্থাপত্য বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমিতে।
হানিফ সংকেত জানান, এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে নিয়ে রচিত একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন নৌ-সদস্য সৌরভ, মেহেদী, পিয়াল ও আনুভা। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল ও মামুন। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার গৌরব নিয়ে আরেকটি দেশের গান গেয়েছেন চট্টগ্রামেরই সন্তান কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী ও নৌ-সদস্য লেফটেন্যান্ট সাদিয়া। গানের সঙ্গে যন্ত্রসংগীতে অংশগ্রহণ করেছে নৌবাহিনীর অর্কেস্ট্রা দল। দুটি গানেরই কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
পর্বের অন্য আয়োজন নিয়ে হানিফ সংকেত বলেন, ‘শেকড়ের সন্ধানে আমরা সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচারবিমুখ, জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে বের করি। পাশাপাশি গত প্রায় ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করার চেষ্টা করছি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ নেভাল অ্যাকাডেমির ইতিহাস-ঐতিহ্যর ওপর দু’টি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন প্রচার করবো।’
নিয়মিত দর্শক পর্বসহ এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ। বরাবরের মতো এবারও ‘ইত্যাদি’র শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। আবহ সংগীত করেছেন নাভেদ পারভেজ।