গ্রাম থিয়েটার হলো বাংলা লোক সংস্কৃতির অন্যতম ধারক- এমনটাই মন্তব্য করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার রাজবাড়ী মাঠে ‘বাংলা লোকনাট্য উৎসব-২০২১’-এর ১৬তম আসর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রীর ভাষায়, ‘সেলিম আল দীনের হাত ধরে প্রথম গ্রাম থিয়েটারের সূত্রপাত হয়। যে কয়েকটি সংগঠন বাংলার লোক সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে, গ্রাম থিয়েটার তার মধ্যে অন্যতম।’
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের সহযোগিতায় রাজশাহীর পুঠিয়া থিয়েটারের উদ্যোগে এ আয়োজন চলবে ৩ দিনব্যাপী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
লোক সংস্কৃতিবিষয়ক অনুষ্ঠান আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে কে এম খালিদ বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগে সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করুন। বিভাগ শেষ হলে জেলায় জেলায় আয়োজন করুন। সরকারের সক্ষমতা বেড়েছে। অর্থের অভাবে আপনাদের অনুষ্ঠান যেন বন্ধ না হয়, সেজন্য আমরা আপনাদের পাশে আছি। রাজশাহীতে যতগুলো জাতীয় নিদর্শন রয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি, যা শিগগিরই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আমরা লোক সংস্কৃতির সাফল্যে কাজ করে যাবো।’
এর আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে পুঠিয়া দূর্গাপুর আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা, রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাচী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে- এই স্লোগান নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ৩ দিনব্যাপী বাংলা লোকনাট্য উৎসবে মরহুম সেলিম আল দীনসহ প্রয়াত সব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের স্মরণে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এর আগে বিকাল ৩টায় গ্রামীণ লাঠি খেলা শুরু হয়। এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা রাজবাড়ি মাঠ থেকে পুঠিয়া সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সন্ধ্যায় আলোচনা সভা শেষে রাজশাহীর ধ্রুপদালোক সংগঠনের নৃত্য পরিবেশনের পর গুণিজনদের মাঝে ‘সেলিম আল দীন সম্মাননা পদক ১৪২৭’ প্রদান করা হয়।
এবারের উৎসব সাজানো হয়েছে লোকনৃত্য, সঙযাত্রা, দেহতত্ত্ব, গম্ভীরা, লোকপালা, গীতিনাট্য, যাত্রাপালাসহ বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে।