১৯ বছর পর জায়েদ খানের ফেরা

শূন্য দশকের টিভি দর্শকদের এখনও মনে থাকার কথা বিজ্ঞাপনচিত্রটির কথা- ব্রিটল বিস্কুট খাইতে খাইতে যায় বেলা...। জিঙ্গেলনির্ভর সেই বিজ্ঞাপনটি ২০০২ সালের দিকে তৈরি। যার মাধ্যমে অভিষেক হয় মডেল জায়েদ খানের।

এরপর মাঝে ১৯ বছর কেটে গেলো। ঢালিউডে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জায়েদ খান এখন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এ পর্যায়ে এসে আবারও মডেল হলেন তিনি। তবে এবার আর কোনও ভোগ্যপণ্যের ভিজ্যুয়াল বা জিঙ্গেল টিভিসি নয়, একটি ফ্যাশন হাউজের স্থিরচিত্র-মডেল হলেন জায়েদ খান। যেখানে তিনি হাজির হয়েছেন একেবারে ভিন্ন গেটআপে রাজকীয় আবহে।

ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে রয়েল মালাবার জুয়েলারি অ্যান্ড ফ্যাশন মলের এই মডেল-শুটে অংশ নিয়েছেন সম্প্রতি। যেখানে জায়েদ খানকে দেখা যায় শেরওয়ানি, পাগড়ি, হাতে তলোয়ার এবং সঙ্গে ঘোড়া! যেন ঘোড়ার পিঠ থেকে মাত্রই নামলেন রাজপুত্র জায়েদ খান!

জায়েদ খান জানান, গৌতম সাহার কোরিওগ্রাফিতে রয়েল মালাবারের পোশাক ও জুয়েলারি ব্যবহার করা হয়েছে এই ফটোশুটে। এতে চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন নাঈম আহমেদ।

জায়েদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি প্রথম মডেলিং করি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। সেটি সম্ভবত ২০০২ সালে একটি বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে। এরপর অনেক প্রস্তাব এসেছে, চলচ্চিত্রের মায়ায় ওদিকে পা বাড়াইনি। ১৯ বছর পর আবারও মডেল হলাম। কারণ, রয়েল মালাবারের শোরুমে গিয়ে তাদের সংগ্রহ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এবং তাদের ফটোশুটের প্রস্তাবটিও ছিল বেশ শৈল্পিক। যা ছবি দেখলেই অনুমান করতে পারবেন।’

জায়েদ খানের আগে সম্প্রতি এই ব্র্যান্ডের মডেল হয়ে আলোচনায় এসেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগরের মতো ডাকসাইটে নেতা-অভিনেতারা।