অবশেষে কানে যাওয়ার ভিসা পেলেন সাদ-বাঁধন

বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর কান-এর অফিসিয়াল সিলেকশনে প্রথম পা ফেলে অনেক হলো উচ্ছ্বাস, এবার হার্টবিট বাড়ার পালা সংশ্লিষ্টদের।

কারণ, নানা অনিশ্চয়তার মধ্যেও কান উৎসবে সরাসরি অংশ নিতে পারছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-টিম। চলমান রাত পোহানোর (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) আগেই ভোর চারটায় প্যারিসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যাবে তাদের উড়োজাহাজটি। ভেতরে থাকছেন সাদ, বাঁধনসহ টিমের ৭ সদস্য। সহপ্রযোজক মহাজন যাচ্ছেন আরও খানিক পরে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় খবরটি নিশ্চিত করেন আজমেরী হক বাঁধন। যিনি এই সিনেমার নাম ভূমিকায় আছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল একটা কনফারমেশন মেইল পেলেও আজ (২৪ জুন) বেলা ৩টার সময় আমরা পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। যেটি পাওয়ার আগপর্যন্ত আমরা আসলে নিশ্চিত ছিলাম না- যাওয়া হবে কি হবে না। ভাগ্যিস আগে থেকেই টিকিট কাটা ছিলো।’

আরও বলেন, ‘ভিসা পাওয়ার পর এখন আমি আরও নার্ভাস। এতদিন বিষয়টি ছিলো কাগজে-কলমে। আর এখন আমি সত্যি সত্যি কান উৎসবে যাচ্ছি। সেখানে আমাদের ছবিটির প্রিমিয়ার হবে। রেড কার্পেট হাঁটবো। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। ব্যাগ কী গুছাবো, আমার কান্নাই থামছে না এখন।’

জানা গেছে, কানে পৌঁছানোর পর ১০ দিন পুরো টিম থাকবে কোয়ারেন্টিনে।

নির্মাতা সাদ তার প্রেস নোটে বলেন, ‘১৬ জুলাই ঊন সের্তেই রিগার্তে বিভাগের অ্যাওয়ার্ড ডিক্লারেশনের সময় বাংলাদেশ থেকে অডিয়েন্সে থাকবো আমরা ৮ জন। নার্ভাস থাকবে বাঁধন, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শৈব, কালারিস্ট চিন্ময়, প্রোডাকশন ডিজাইনার উজ্জ্বল, সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন, কো প্রোডিউসার মহাজন, একজিকিউটিভ প্রোডিউসার বাবু আর রাইটার ডিরেক্টর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ।’

জানা গেছে, এবার সারা পৃথিবীর আড়াই হাজার ফিল্ম থেকে কম্পিটিশনে জায়গা পেয়েছে মাত্র ৪৪টি। এর মধ্যেই একটি হলো বাংলাদেশের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। যার মাধ্যমে প্রথমবার কান উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশের কোনও ছবি স্থান পেলো।

বাঁধন জানান, ১৮ জুলাই দেশে ফিরছেন তারা। সঙ্গে থাকতেও পারে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর সুবাদে নতুন কিছু অর্জন। সিনেমা থেকে যা আজও পায়নি বাংলাদেশ।

এবারের উৎসব শুরু হচ্ছে ৬ জুলাই। শেষ হবে ১৭ জুলাই।

* অবশেষে কান অফিসিয়াল সিলেকশনে বাংলাদেশের ছবি!