হাসপাতাল থেকে ফেসবুক লাইভে কবীর সুমন! (ভিডিও)

হাসপাতালে শয্যাশায়ী ওপার বাংলার কবীর সুমন। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি। বিছানায় পড়েও নিয়মিত বাঁধছেন নতুন সুর।

এমনকি আজ (১ জুলাই) ফেসবুক লাইভে এসে কথাও বলেন। সেই সঙ্গে শুনিয়েছেন নতুন সুরের কিছু লাইনও। 

জানালেন, আগের চেয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ, তবে পুরোপুরি নয়। লাইভে যখন কথা বলছিলেন, তখনও এই গায়কের নাকে বাঁধা ছিল অক্সিজেনের নল।

শুরুতেই বলেন, ‘আগে কী হয়েছিল একটু ছোট করে জেনে নিন। আগেই একটু ঠান্ডা লেগেছিল। কিন্তু রবিবার (২৭ জুন) যেটা হলো, কোনোভাবেই ঢোক গিলতে পারছি না। অসম্ভব ব্যথা গলায়। অন্য কোনও সমস্যা নেই। একদমই ঢোক গিলতে পারছিলাম না; খাবার খাওয়া তো দূরের কথা। কেমন একটা কেলেঙ্কারি অবস্থা! এরপর প্রফেসর সৌমিত্র ঘোষের সঙ্গে কথা হয়। তিনি চমৎকারভাবে বলেন, স্যার হাসপাতালে চলে আসুন।’

এরপর কবীর সুমন রবিবার (২৭ জুন) রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন। ২৮ জুন ভোরে হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

সুমন জানান, এরপরই চিকিৎসকরা ঢোক গিলতে না পারা সমস্যার সমাধান করেন। গত তিন দিনে বেশ সুস্থ আছেন বলে জানান বাংলা গানের এই কিংবদন্তি।

গান প্রসঙ্গেও কথা বলেন সুমন, ‘আমি দ্রুত সেরে উঠছি। শুনতেই পারছেন পাশে তানপুরা বাজছে। আমি যখন পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবো তখন পুরো সুর লাগাতে পারবো। হাসপাতালে আজ সকালেই আমি গুন গুন করে ভৈরবী-ভৈরব, ভাটিয়ালি গাইছিলাম। রাগ প্রতিমা বেঁধেছি। এরমধ্যে রাগ প্রতিমা আমার নতুন সৃষ্টি।’

এ সময় দু’লাইন গেয়ে শোনান সুমন। 

চিকিৎসা ব্যবস্থায় মমতা সরকারের প্রশংসাও করেন। পাশাপাশি বাংলা সংস্কৃতির এই চর্চার জন্য কৃতিত্ব দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে। বলেন, ‘বাংলা খেয়াল আমার গাইতেই হবে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলা থাকবে যদি মমতা থাকে। আমি যে গাইছি, রাগ তৈরি করছি এর কৃতিত্ব মমতার। বাংলা গান বা সংস্কৃতির এই চর্চা হচ্ছে মমতার জন্যই। আমরা তো হিন্দুস্তানি সংগীতের লোক। আমাদের কাছে ঈশ্বর, আল্লাহর চেয়ে গুরু বড়। আমাদের গুরুরা যে শিক্ষা দিয়েছে সেটাই চর্চা করি। এটাই আমাদের এক ধরনের হজ। দীর্ঘ জার্নি।’

অন্যদিকে, আজ বিশ্ব চিকিৎসক দিবস। মূলত এ কারণেও লাইভে এসেছেন বলে জানান সুমন। ধন্যবাদ দেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীকে। ভূয়সী প্রশংসা করেন কলকাতার বর্তমান হাসপাতাল ব্যবস্থাকে।