জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে ঢাকার উত্তরায় দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মেট্রোরেল লাইন-৬ এর ডিপোতে!
গত ১৬ জুলাই দেশের প্রথম দূরনিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক মেট্রোরেলের প্রথম গন্তব্যস্থলের সুবিশাল ওয়ার্কশপে ধারণ করা হয় এই পর্বটি। করোনার কারণে এই প্রথম স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে কোনও দর্শককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেই হিসাবে এটিই হচ্ছে ‘ইত্যাদি’র দর্শকশূন্য প্রথম অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে গান রয়েছে দুটি। খ্যাতিমান গীতিকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায়, মনোয়ার হোসেন টুটুলের সুরে সাবিনা ইয়াসমিন গেয়েছেন একটি দেশাত্মবোধক গান। গানটির কোরিওগ্রাফিতে অংশগ্রহণ করেছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ক’জন স্থপতি ও প্রকৌশলী।
সম্প্রতি সিলেট অঞ্চলের একটি গান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। তৈরি হয়েছে ধূম্রজাল। ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্বে সেই গানটির প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সেই চিকিৎসকদের, যাদের নৃত্যে গানটি আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শিল্পী তসিবাকে। সংগৃহীত কথা ও সুরে ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্বে তসিবার জন্য একটি গান নতুনভাবে রেকর্ড করা হয়। গানটির র্যাপ অংশ গেয়েছেন মাহমুদুল হাসান। সংগীতায়োজন করেছেন তরুণ সংগীত পরিচালক নাভেদ পারভেজ। গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত নৃত্যশিল্পীরা।
রয়েছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রকৌশলী মো. আমিন উল্লাহর আরেকটি উদ্বুদ্ধকরণ প্রতিবেদনও।
এবারের ‘ইত্যাদি’তে কোনও আমন্ত্রিত দর্শক না থাকার পরও করা হয়েছে দর্শক পর্ব। কিন্তু দর্শক ছাড়া কীভাবে দর্শক পর্ব? মামা তথা অভিনেতা আব্দুল কাদেরের মৃত্যুর পর ভাগ্নে আফজাল শরীফকে এই প্রথম দেখা যাবে। কিন্তু সেখানে তার ভূমিকা কী থাকবে? এসব প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে ৩০ জুলাই প্রচার প্রতীক্ষিত ‘ইত্যাদি’তে।
‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন যথারীতি হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। স্পন্সর করেছে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।