নায়ক-নেতার বিরুদ্ধে অশ্লীল কনটেন্ট, ডিবিতে অভিযুক্তদের তলব

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবে অসংখ্য আপত্তিকর কনটেন্ট ও গুজব প্রচার হয়ে আসছে অনেক দিন ধরে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র তার মানহানির লক্ষ্যে এমনটি করছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন এই নায়ক-নেতা।

এসব বিষয় উল্লেখ করে সম্প্রতি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জায়েদ খান। সেই সূত্রে পুলিশের ডিবি (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) কর্তারা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়। নায়কের বিরুদ্ধে নানা গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিএমপির স্পেশাল ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট। 

এ ধরনের প্রচারণা যাতে আর না করে, সে জন্য তাদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মুচলেকাও।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) স্পেশাল ক্রাইম ও সাইবার ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জায়েদ খান একটি জিডি করেছিলেন। সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ইউটিউবে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানহানিকর গুজব ও তথ্য দিয়ে ভিডিও বানিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। সেগুলোর কয়েকটি আমরা শনাক্ত করেছি। এসব ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাডমিনদের ডাকা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কারও বিরুদ্ধে এমন আপত্তিকর প্রচারণা না করে, সে বিষয়েও তাদের সতর্ক করা হচ্ছে।’

এসব অভিযুক্ত ইউটিউবারদের মধ্যে দুজন নারী ও কয়েকজন পুরুষ রয়েছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা। 

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখনও কাজ করছি। অভিযুক্ত যে কনটেন্ট পাচ্ছি, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। জিডি যেভাবে সুরাহা করা হয়, আইনগতভাবে আমরা তা-ই করছি। জিডির বিপরীতে কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। জায়েদ খান মামলা করলে গ্রেফতারের সুযোগটা থাকতো। তাই আমরা কেবল তাদের চ্যানেল থেকে কনটেন্ট মুছে ফেলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি।’

এদিকে মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে জায়েদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রথমত আমি অনেক দিন এগুলো সহ্য করেছি। ইগনোর করেছি। পারসোনালি দুই একজনকে অনুরোধও করেছি, মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসব নোংরামি না করার জন্য। কিন্তু কিছুতেই তারা থামছিল না। মনে হচ্ছিল, ওরা আমাকে ধ্বংস করেই ক্ষান্ত হবে! অথচ আমি গোটা জীবন মানুষের জন্যই উৎসর্গ করেছি। শেষে বাধ্য হয়ে জিডি করলাম। আমি ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে আছি। জানতে পেরেছি অভিযুক্তদের মনিরুল ইসলাম ভাই ডেকে এনে সব অনুসন্ধান করছেন। মুচলেকাও নিচ্ছেন। আমার কথা হলো, মুচলেকা দিয়ে তারা যদি শুদ্ধ হয়; ক্ষতি কি? হোক না। মামলা করলেই ওরা গ্রেফতার হবে, জেল-জরিমানা হবে। আমি প্রথমেই সেটা চাই না। আমি চাই ওরা শুদ্ধ হোক।’

জায়েদ খান এটাও জানান, এরপরও ইউটিউব-ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে যদি কেউ সেটা প্রমাণ করতে না পারেন, তবে সরাসরি তিনি মামলায় যাবেন।