সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক, নাট্যকার, অভিনেতা, নাট্যনির্দেশক ও কলামিস্ট মমতাজউদদীন আহমদের ৮১তম জন্মবার্ষিকী আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি)।
রাজশাহীতে প্রথম শহীদমিনার গঠনের সময় তিনি সংগঠক হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে ৫৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাকে কারাবরণ করতে হয়। জীবনের বেশিরভাগ সময় অধ্যাপনা করে কাটিয়েছেন চট্টগ্রামে। পৃথিবীর ভিন্ন দেশে নাটক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং বিশ্বভারতীতে তার নাটক পাঠ্যসূচিতে রয়েছে।
তবে তার স্বপ্ন বিশ্বমানের একটি নাটক লেখা বাংলা ও ইংরেজি ভাষাতে। বর্তমানে মূলত এ কাজটিতেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি। মমতাজউদদীন আহমদ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা দীনবন্ধু মিত্রের মতো মৃত্যুর পরেও আমি বেঁচে থাকতে চাই আমার সাহিত্য ও কর্ম দিয়ে।’
তার লেখা টেলিভিশনে প্রচারিত সর্বশেষ দর্শকপ্রিয় দুটি নাটক হচ্ছে ‘কুল নাই কিনার নাই’ ও ‘সহচর’। নাটক দু’টির একটি নির্মাণ করেছিলেন মোস্তফা কামাল সৈয়দ ও অন্যটি নওয়াজেশ আলী খান। সৈয়দ হাসান ইমাম পরিচালিত ‘লাল সবুজের পালা’ চলচ্চিত্রের কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য মমতাজউদদীন আহমদই রচনা করেছিলেন। প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের ‘শাস্তি’, ‘সুভা’ ও ‘হাছন রাজা’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও করেছিলেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদের নির্দেশনায় ১০টি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
হুমায়ূন আহমেদের ‘শঙ্খনীল কারাগার’, তানভীর মোকাম্মেলের ‘চিত্রা নদীর পাড়ে’, ‘নদীর নাম মধুমতি’ ও মহিউদ্দিন ফারুকের ‘বিরাজ বৌ’ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। জীবনের এই সময়ে এসে মমতাজউদদীন আহমদ তার আদরের প্রিয় নয়জন নাতি-নাতনির (ছয়জন নাতি ও তিনজন নাতনি) সঙ্গে হেসে-খেলে সময় পার করছেন।
গুণী এ মানুষটির জন্মদিনে বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে রইলো অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।