নতুন বছরে চালু হচ্ছে ‘সংগীত বিমা’

নতুন বছরের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রথিতযশা সংগীতশিল্পীদের জন্য সরকার চালু করতে যাচ্ছে ‘সংগীত বিমা’।

এর আওতায় শিল্পী ও শিল্পীর পরিবারের সদস্যরা রয়্যালটির মতো প্রতি মাসে টাকা পাবেন। গতকাল (১২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে কপিরাইট অফিস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যটি দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

প্রয়াত সংগীত তারকা আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারকে ডিজিটাল রয়্যালটি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, আগামী বছরের শুরুতেই সংগীত বিমা চালু হবে।

‘দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছেন আমাদের গুণী শিল্পীরা। তারা হয়তো অনেকেই জানেন না মেধাস্বত্ব কী, কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। তাদের জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। আগামী বছরের শুরু থেকেই এটি কার্যকর হবে। প্রথম দিকে নিজস্ব অর্থায়নে সরকার এককালীন প্রিমিয়াম দেবে। যেন তারা মাস শেষে একটা ভালো অ্যামাউন্ট পান। প্রতি বছর ২০০-৪০০ জন করে শিল্পীরা এই বিমার আওতায় আসবেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্পীরা দুঃসময় কাটায়। শেষ বয়সে অথৈ সাগরে পড়ে যান। সেই শিল্পী পরিবারে আলো দেওয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন’—প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন কে এম খালিদ।
  
প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনায় প্রায় ২০ হাজার শিল্পীকে যৎসামান্য অনুদান দিয়েছিল সরকার। তবে ভবিষ্যতে তারা যেন আরও ভালো সুবিধা ও মেধার মূল্যায়ন পান, সে কারণেই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় শিল্পীদের জন্য প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নিয়েছে। 

এর আগে প্রতিমন্ত্রী আইয়ুব বাচ্চু পরিবারের কাছে রয়্যালটির ৯ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর এই ব্যান্ড কিংবদন্তির ২৭২টি গান সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিল কপিরাইট অফিস। আর সেগুলো থেকে গত এক বছরে আয় হয়েছে ৫ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকা। এছাড়াও দুটি মোবাইল ফোন অপারেটর ও স্বাধীন মিউজিক অ্যাপস নামের সংগীত বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম রয়্যালটি হিসেবে ৫ লাখ টাকা প্রদান করে। আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের পক্ষ থেকে এটি গ্রহণ করেন তার স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা।