সুপারস্টারদের জীবনসঙ্গীকে ঘিরে বরাবরই আগ্রহ থাকে ভক্তদের। দাম্পত্যে যেমন অনেক তারকাই অনুকরণীয় তেমনি কিছু বিচ্ছেদও হয়ে যায় রেকর্ড। তেমনই কিছু হলিউডের স্বল্পকালীন দাম্পত্য নিয়ে এই ফিচার-
১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার বিয়ে করেন গায়িকা-অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ। এই বিয়ে টিকেছিল মাত্র ৩১৩ দিন!
হলিউডের আলোচিত এই তারকা দম্পতি বিয়ে করেন ১৯৯৬ সালে। বিয়ের পরেই তারা দু’জনে আবিষ্কার করেন, অন্যজনের অন্য কারও সঙ্গে প্রেম চলছে! বেশিদিন তাই টেকেনি। মাত্র ৩০৯ দিনের মাথায় সম্পর্ক ভাঙে তাদের।
আগের স্বল্পমেয়াদী বিয়ে ভাঙার পর আবার বিয়ে করেন গায়িকা-অভিনেত্রী জেনিফার। ২০০১ সালে ক্রিসকে বিয়ে করেন তিনি। তবে এই বিয়েও বেশি দিন টেকেনি। ছিল মাত্র ২১৮ দিন।
টম ও ড্রিউয়ের এ বিয়ে টিকেছিল ১৬৩ দিন। আরও একটি বিয়ের স্বল্পমেয়াদের কারণেও খবরে এসেছেন ড্রিউ।
সুপারমডেল কারমেন ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন ডেনিসকে। মাত্র নয় দিনেই তাদের দাম্পত্য নড়বড়ে হয়ে ওঠে। ঘোষণা দেন বিচ্ছেদের। যদিও বিচ্ছেদ পেতে সময় লেগেছিল ১২৯ দিন।
২০০৬ সালে বিয়ে করেন তারা। ১২২ দিনের মাথায় হয় বিচ্ছেদ। বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই দুজন দুজনকে ছেড়ে যান।
বিয়ের জন্য বরাবরই আলোচিত পামেলা। ২০০৬ সালে বিয়ে করেন পামেলা ও কিড। তার পরেই ঝগড়া। ১২২ দিনে হয় বিচ্ছেদ।
২০০১ সালে জুলাই মাসে বিয়ে করেন তারা। ১২১ দিন টিকে ছিল তাদের বিয়ে। দ্রুতই জানিয়ে দেন বিচ্ছেদের কথাও।
এলভিস প্রিসলির একমাত্র মেয়েকে ২০০২ সালের আগস্টে বিয়ে করেন অভিনেতা নিকোলাস। নভেম্বরেই বিচ্ছেদের ঘোষণা। বিয়ে টিকেছিল মাত্র ১০৭ দিন।
২০১১ সালে আগস্ট মাসে বিয়ে করেন এই দুই তারকা। টিকেছিল মাত্র ৭২ দিন। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা দেন তারা।
মাত্র ৩৯ দিনের বিয়ে এটি। ১৯ বছরের ড্রিউ আচমকাই বিয়ে করেন জেরেমিকে।
২০০৮ সালে বিয়ে করেন দু’জনে। ১৪ দিনের মাথায় বিচ্ছেদের ঘোষণা! মজার বিষয় হলো- তাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের আয়োজন করেন একসঙ্গে। আর এতে অতিথিরা পেটপুরে খেয়েছিলেনও!
এরিকার সঙ্গে নিকোলাসের বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। মাত্র চার দিন, ব্যস। ছোট ঝগড়া থেকে একেবারে বিচ্ছেদ।
২০০৪ সালে বাল্যবন্ধু জেসনকে বিয়ে করেন ব্রিটনি। বিয়ে টিকেছিল মাত্র ৫৫ ঘণ্টা। খ্যাতনামাদের স্বল্পমেয়াদের বিয়ের তালিকায় একেবারে ওপরেই থাকবে পপগায়িকার নামটি।
সূত্র: এমএসএন