মানি হাইস্ট: চোর-পুলিশের খেলায় নতুন মাত্রা!

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গতকাল (৩ ডিসেম্বর) রিলিজ পেলো ‌‘মানি হাইস্ট সিজন ফাইভ’র দ্বিতীয় ভলিউম। লম্বা সিরিজগুলোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিক রোমাঞ্চটা না ধরে রাখতে পারার প্রবণতা দেখা গেলেও এটি ব্যতিক্রম। নেটফ্লিক্সে ভিন্ন ভাষার সবচেয়ে বেশি দেখা ওয়েব সিরিজ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে ‘মানি হাইস্ট’। 

লাকাসা দে পাপেল বা মানি হাইস্ট, সহজ বাংলায় যার অর্থ ডাকাতি। তবে আপনার কাছে এটা চুরি বা ডাকাতি মনে হলেও সিরিজের মাস্টারমাইন্ড প্রফেসর মেনে নিতে নারাজ যে এটি চুরি। কারণ তারা কোনও টাকা চুরি করছেন না, তারা নিজেরা রয়েল মিন্টে ঢুকে টাকা ছাপিয়ে পালিয়ে যাবেন। পরিমাণ পুরো ২.৪ বিলিয়ন ইউরো! তবে তিনি একা নন, তার দলে আছেন ভিন্ন ভিন্ন গল্পের মতো অতীতের পারদর্শী কিছু মানুষ। আর এদের নিয়েই এগিয়ে চলে সিরিজের কাহিনি। তারা উল্টো ব্যাংকে গিয়ে, হোস্টেজদের না মেরে জিম্মি রেখে, নিজেরা নিজেদের টাকা ছাপিয়ে নিয়ে পালাতে চায়। আবার পুরো ডাকাতিজুড়েই তারা সাধারণ পাবলিকদের সাপোর্ট পায়। এই সিরিজের গল্পটাই তো ডাকাতির, যেখানে ডাকাতরা হিরো আর পুলিশ, গোয়েন্দা, বড়বড় সরকারি এজেন্সিগুলোকে দেখানো হয়েছে ভিলেনরূপে।

তবে কাজটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সিরিজে ব্যবহার করা ‘বেলা চাও’ গানটি একইসাথে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এটি মূলত একটি ইতালিয়ান লোকসংগীত, যেখানে জমির মালিকদের অমানুষিক অত্যাচারের কথা ফুটে উঠেছিল। আর ‘মানি হাইস্ট’র পরিচালক এই গান থেকেই গোটা সিরিজ তৈরির অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।

নির্মাতা অ্যালেক্স পিনা আগেই জানিয়েছিলেন, ভলিউম ২-এ তারা চরিত্রগুলোর ইমোশনাল দিকের ওপরে ফোকাস করবেন। প্রফেসর, বার্লিন, নাইরবি, দেনভের, টোকিও- এই চরিত্রগুলোতে অভিনয় করা প্রত্যেকেই দারুণ কাজ করেছেন। বিশেষ করে প্রফেসর চরিত্রটার তো একটা আলাদা ফ্যানবেজই আছে। 

কয়েকদিন আগে প্রকাশিত হওয়া পঞ্চম কিস্তির ট্রেলার দেখা গেছে, প্রফেসরকে বাঁচানোর মতো কঠিন কাজটা করতে হবে লিসবন, রিওদের। হতে পারে এইটাই সিরিজের শেষ কিস্তি। হয়তো কেউ কেউ মারাও যাবেন, কিন্তু তারা কারা? প্রশ্নটার উত্তর সহজেই মিলছে না।