মাকড়শার জালে আটকালো ‘ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস’

নব্বই দশকে যাদের জন্ম, তাদের অনেকেরই শৈশবের জনপ্রিয় মুভি ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’। সিরিজটির ধুন্ধুমার সিজিআই ও কিয়ানু রিভসের অ্যাকশন দৃশ্য দেখতেই মুখিয়ে থাকতো সবাই। 

১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় প্রথম পর্ব। ২০০৩ সালে আসে পরের দুই সিক্যুয়েল ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিলোডেড’ ও ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রেভ্যুলেশন’। প্রায় দুই দশক পর এলো চতুর্থ পর্ব ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস’। মুক্তির পর মিডিয়ায় হইচই ফেললেও কাঁপাতে পারেনি বক্স অফিস। এখন পর্যন্ত তুলেছে প্রায় ৭ কোটি ডলার। ওমিক্রনের এ যুগে আয়ের অঙ্কটাকে মোটামুটি আশাব্যাঞ্জক বলছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স। কিন্তু কাছাকাছি সময়ে ‘স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম’ মুক্তি পাওয়ায় ব্যবসায় ভালোই মার খেয়েছে লানা ওয়াচোস্কির ‘ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস’।

মহামারির সময়ে একশ’ কোটি ডলার আয় করে রেকর্ড গড়েছে ‘নো ওয়ে হোম’। সপ্তাহ শেষে আয় ১৫০ কোটি ডলার! স্পাইডারম্যানের জালে আটকা পড়ে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস’ এখনও বাজেটই তুলতে পারেনি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিভিউতে দেখা গেছে ভক্তদের মধ্যে ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস’ নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ নাখোশ, কেউ বলছেন, এ ছবির গভীরতা বেশি। আবার প্রথম পর্বের অনেক কিছুরই ‘পুনরাবৃত্তিতে’ কারও মতে নতুন ছবির গল্পে বিশেষ নতুনত্ব নেই, চরিত্রায়নও দুর্বল। কাহিনির শেষটাও অনেকের ভালো লাগেনি। তাছাড়া মরফিয়াস ও এজেন্ট স্মিথসহ আগের অভিনেতাদের ফিরে পাওয়ার একটা সুপ্ত ইচ্ছেও ছিল ভক্তদের।

‘দ্য ম্যাট্রিক্স’-এর কাহিনি যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, এবারের পর্ব সেখানেই ফিরে যাবে। অর্থাৎ ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশনস’ সিনেমায় ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’ সিনেমারই পুনরুত্থান ঘটবে বলা যায়।

এ ট্রিলজির প্লটের সময়কাল ২১৯৯ সালের দিককার। দেখানো হয় তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর মাধ্যমে মানবজীবন সহজ করার প্রয়াস চলছে অবিরাম। আশাতীত ব্যবহার শুরু হয়েছে এআই টেকনোলজির। মানুষের জায়গা দখল করে নিচ্ছে রোবট। তাদের চিন্তার দৌড়ও মানুষের কাছাকাছি চলে আসছে। অনেকের আশঙ্কা, এভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এগোতে থাকলে একসময় যন্ত্রের কাছে হেরে যেতে পারে মানুষ। আর এমন পরিণতি নিয়েই ম্যাট্রিক্স ইউনিভার্স৷

‘দ্য ম্যাট্রিক্স রেজারেকশনস’-এ এমনই এক উপসংহার দেখানো হয়েছে যা মূলত বাস্তবে না ঘটাই মঙ্গল। এই সিনেমায় আমাদের বিশ্বের এগিয়ে চলার একটি নেতিবাচক প্রতিফলন তুলে ধরা হয়েছে। এতে এমন এক পৃথিবীর দেখা মেলে, যেখানে রোবটরা মানুষদের শাসন করছে, আর মানুষরা নিজেদের অধিকারের জন্য বিদ্রোহ করছে৷

২৪ ডিসেম্বর থেকে দেশেও চলছে সিনেমাটি। এ পর্বে কিয়ানু রিভস, ক্যারি অ্যান মস ছাড়াও থাকছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, নিল প্যাট্রিক হ্যারিস, জেসিকা হেনউকসহ একঝাঁক জনপ্রিয় হলিউড তারকা।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, কইমই ডট কম, পিংকভিলা