অনেকটা চমকে দিয়ে দিন-দুয়েক আগে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন দক্ষিণী তারকা ধানুশ। জানিয়েছিলেন, ১৮ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ও তার স্ত্রী ঐশ্বরিয়া।
তবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানা গেলো, বিচ্ছেদ এখনও হয়নি তাদের। হওয়ার সম্ভাবনাও কম। সেটা দাবি করেছেন ধানুশের বাবা।
ধানুশের বাবা তামিল ছবির পরিচালক কস্তুরি রাজা। গত ১৭ জানুয়ারি ছেলের টুইটার ঘোষণাকে ‘পারিবারিক বিবাদ’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
পরিচালকের স্পষ্ট মন্তব্য, ধানুশ-ঐশ্বর্যর বিচ্ছেদই হচ্ছে না। তিনি বিচ্ছেদের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং গুজবের তকমা দিয়েছেন।
পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কস্তুরি রাজা বলেন, ‘ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার মধ্যে বিবাদ চলছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমন সাধারণত হয়। তবে এর মানে এই নয়, তাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। এটি পারিবারিক বিবাদ, দ্রুতই শেষ হবে। বিবাহ বিচ্ছেদ নয়। এই মুহূর্তে চেন্নাইতে নেই ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। দুজনই হায়দরাবাদে। আমি ফোন করে তাদের সঙ্গে কথা বলে কিছু পরামর্শ দিয়েছি।’
১৭ জানুয়ারি ধানুশ টুইটারে লেখেন, ‘আমাদের ১৮ বছরের পথচলায় বন্ধু, দম্পতি, বাবা-মা এবং একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমরা থেকেছি। এই যাত্রা লম্বা হয়েছে বোঝাপড়া এবং মানিয়ে নেওয়ায়। আজ আমরা এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছি, যেখানে আমাদের পথ আলাদা। ঐশ্বরিয়া ও আমি দম্পতি হিসেবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২০০৪ সালে মহাধুমধামে বিয়ে হয় দক্ষিণী মহাতারকা রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বরিয়া ও অভিনেতা ধানুশের।
ভারতীয় সেই সংবাদ সংস্থার রিপোর্টের দাবি, কাজপাগল ধানুশ বরাবরই পেশাগত প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিতেন। লাগাতার আউটডোর শুট এবং অন্য শহরে যাওয়ায় পারিবারিক জীবনে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন তিনি।
পরপর ছবিতে কাজের কারণে ঐশ্বর্যকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছিলেন না অভিনেতা। স্ত্রীও আস্তে আস্তে আধ্যাত্মিকতার দিকে গেছেন। যোগ ব্যায়াম, শারীরিক কসরতে সময় কাটান তিনি।
অন্যদিকে, ধানুশের (৩৮) বয়সের তুলনায় বড় ছিলেন ঐশ্বরিয়া (৪০)। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তবে শেষ দিকে এসে এটাও ছিল নাকি সমস্যার কারণ।
সূত্র: এনডিটিভি