বিয়ে ও মাতৃত্বের জোড়া চমক দিলেন ১০ জানুয়ারি। ১২ জানুয়ারি জানান, আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেন পরীমণি! ১৫ জানুয়ারি জানালেন, না। নির্বাচন তিনি করছেন না। প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নাম।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন একইদিন বিকালে বলেন, ‘আজ (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল। সেটা অতিক্রম হওয়ার পর আমরা পরীমণির বিষয়টি জানতে পারি। ফলে এখন আর প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। ব্যালটে পরীমণির নাম থাকছেই।’
হ্যাঁ, চূড়ান্ত ব্যালটে ছবিসহ নাম রয়েছে পরীমণির। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন থেকে এই ব্যালট পেপারের বড় একটি ব্যানার দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় এফডিসি চত্বরে। উদ্দেশ্য, ভোটার ও প্রার্থীদের সামনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং ভোট দেওয়ার পদ্ধতি অবহিত করা। যেখানে অন্য প্রার্থীর সঙ্গে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রয়েছে পরীমণির নাম ও ছবি। এতে ২৪ জন কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থীর তালিকায় ১৪ নম্বরে রয়েছেন পরী।
এদিকে ভোটের মাঠে পরীমণি নামুন আর না নামুন, বেশিরভাগ বিশ্লেষকই মনে করেন তিনি বিপুল ভোটে জিতে যাবেন। কারণ, বরাবরই পরীমণি এফডিসির অবহেলিত-বঞ্চিত শিল্পী-কুশলীদের পাশে ছিলেন নানাভাবে।
জিতলে কি সেটি গ্রহণ করবেন? জবাবে পরীমণি বাংলা ট্রিবিউনকে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘না, প্রশ্নই আসে না।’
আরেকটু ব্যাখ্যা করেন এভাবে, ‘আমি আজীবন বঞ্চিত শিল্পীদের সঙ্গে আছি। তাদের পাশে থাকতে হলে আমার কোনও পদের দরকার পড়বে না। কোনও দিন।’
তবে সেটি প্রত্যাহারের শেষ দিন (১৫ জানুয়ারি) দুপুর নাগাদ পরীমণির স্বামী নায়ক শরিফুল রাজ গণমাধ্যমকে জানান, ‘শারীরিক অবস্থার কারণে পরী নির্বাচন করতে পারছে না। সে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছে। তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য দ্রুত ভারতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
এমন ঘোষণার পর ২১ ও ২২ জানুয়ারি আবারও চমকে দেন রাজ-পরী দম্পতি। ঘরোয়া আয়োজনে এই দুদিনে তারা হলুদ ও বিয়ের আয়োজন করেন দুই পরিবারের স্বজনদের নিয়ে। তারা গত বছর ১৭ অক্টোবর চুপি চুপি বিয়ে করেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি। সঙ্গে আরও জানান, বাবা-মা হতে চলেছেন! ঠিক করেছেন নামও—মেয়ে হলে রানি, ছেলে হলে রাজ্য।