চাঁদ ও পৃথিবীর সংঘর্ষের ছবি ‘মুনফল’, এখন স্টার সিনেপ্লেক্সে

শত কোটি বছর পরে সূর্য চাঁদকে কক্ষপথ থেকে পুরোই বিচ্যুত করে দেবে। পৃথিবীর পরিণতিও হবে ভয়াবহ। পুরো বিশ্বে ঘটতে পারে আরও বড় বড় ভূমিকম্প।

পরিবেশের জন্য যা বয়ে আনতে পারে মহাবিপর্যয়। এমনকি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবী। বিজ্ঞানীদের এমন পূর্বাভাস রেখাপাত করেছে হলিউডের খ্যাতিমান পরিচালক রোনাল্ড এমরিখের মনে। তৈরি করেছেন চাঁদ ও পৃথিবীর সংঘর্ষের চলচ্চিত্র ‘মুনফল’। যা দেখতে পারবেন ঢাকার দর্শকরাও। কারণ, ছবিটি এখন চলছে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায়। 

গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে সায়েন্স ফিকশন ডিজাস্টার ঘরানার ছবিটি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন থেকে প্রায় ৬০ কোটি বছর পরে চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরবে না। চাঁদ তখন পৃথিবীর কাছে একটি দূরের তারা হয়ে থাকবে। খালি চোখে চাঁদের সৌন্দর্য আর দেখাই হয়তো যাবে না। পৃথিবী থেকে অনেক দূরের কোনও কক্ষপথে ঘুরবে। মানব সভ্যতা টিকে থাকলেও দেখবে না সূর্যগ্রহণ কিংবা জোয়ার-ভাটা। সূর্যের আলোয় বাধা দেবে না চাঁদ। পৃথিবীকে দিতে পারবে না ছায়াও। সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে যাবে তত দিনে, পৃথিবী উষ্ণ হবে অনেক বেশি। এরপর শত কোটি বছর পরে সূর্য চাঁদকে কক্ষপথ থেকে পুরোই বিচ্যুত করে দেবে।

এখান থেকেই মূলত ছবিটির গল্প ভাবনা। চলচ্চিত্রটিতে দেখা যাবে চাঁদ তার কক্ষপথ থেকে সরে এসেছে। ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এই বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের পথ কী? একজন সাবেক মহাকাশচারী, একজন নাসা বিজ্ঞানী ও একজন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক পৃথিবীকে এই বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে মিশনে নামেন। এ নিয়েই ছবির কাহিনি। 

পৃথিবীর বিপর্যয় নিয়ে ছবির কথা বললে নির্মাতা রোনাল্ড এমরিখের নাম সামনে চলে আসে। ‘ইনডিপেনডেন্স ডে’, ‘দ্য ডে আফটার টুমরো’, ‘২০১২’- একের পর এক সায়েন্স ফিকশন আর পৃথিবীর বিপর্যয় নিয়ে ছবি নির্মাণে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন এই নির্মাতা। এবার তিনি নিয়ে এসেছেন ‘মুনফল’। ২০১৬ সালে ‘ইনডিপেনডেন্স ডে: রিসারজেন্স’-এর পরে ‘মুনফল’ তৈরিতে তিনি সময় নিলেন পাঁচ বছর। বেশ কয়েক বছর ধরেই ছবিটি নিয়ে কাজ করছেন ৬৬ বছর বয়সী এই নির্মাতা।

হলিউড রিপোর্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এ ধরনের ছবি নির্মাণ রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। তাই সময় নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কোভিডের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন ছিল। শেষ পর্যন্ত ছবিটি দর্শকদের সামনে আসছে এটা আনন্দের।’

হ্যালি বেরি, প্যাট্রিক উইলসন ও জন ব্রাডলিসহ আরও অনেকে রয়েছেন এই সিনেমায়।