জায়েদ খানকে ১৮ সংগঠনের বয়কট

আবারও বয়কটের মুখে পড়লেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন আনুষ্ঠানিক এক প্রেস বিবৃতিতে এটি জানিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটার ছাড়া কেউ এফডিসিতে প্রবেশ করতে পারেনি। যা ছিল চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য অশোভন ও অপমানজনক। এই ঘটনার শিল্পী সমিতির ‘সদস্য’ জায়েদ খানের ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে। তাই সকল সংগঠন এই সিদ্ধান্ত এসেছে যে, তার সঙ্গে ১৮ সংগঠনের কেউ কাজ করবে না। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আজ থেকে বয়কট করা হলো।

সোহানুর রহমান সোহানের স্বাক্ষরিত চিঠিটিতে আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর আয়োজন নিয়েও সূচি উল্লেখ হয়।

এদিকে বয়কট প্রসঙ্গে সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘নির্বাচনের দিন জায়েদ খানের ভূমিকাটি আমরা প্রমাণসহ পেয়েছি। এই কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল। এই অসম্মানের জন্য আমরা তাকে বয়কট করছি।’

অন্যদিকে, বয়কটের বিষয়টি নিয়ে জায়েদ খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা অন্যায় সিদ্ধান্ত এবং পূর্বপরিকল্পিত। আমাকে নিষিদ্ধ করার কারণে বলা হয়েছে যে, ২৮ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন আমি তাদের ঢুকতে দেইনি। কিন্তু এই অভিযোগে ১ মাস পর কেন সিদ্ধান্ত? তিনিই (সোহানুর রহমান সোহান) তো এমডির  (বিএফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিন) কাছে বলেছেন, নির্বাচনের সময় আমরা কেউ আসবো না। নির্বাচনের আগে দুই প্যানেলের ৫ জন করে সদস্য তেজগাঁও উপ-পুলিশকমিশনারের কাছে বলেছেন, এফডিসির এমডি যা সিদ্ধান্ত নেবেন মেনে নেব। সিদ্ধান্ত এমডি নিয়েছেন, তাহলে আমাকে কেন শুধু টার্গেট করা?’

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘১৮ সংগঠনের মধ্যে শিল্পী সমিতিও আছে। কিন্তু শিল্পী সমিতির কার সঙ্গে কি তারা আলোচনা করেছেন? প্রযোজক সমিতির নেতৃত্ব নেই। তাহলে তাদের সিদ্ধান্ত দিলো কে? সোহান ভাই ভুল করেছেন, আপিল বোর্ড অন্যায় করেছে- সেটা ঢাকার জন্য এত কিছু করছে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।’

উল্লেখ্য, সংগঠনগুলোর নেতারা ২৮ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই জায়েদ খান ও এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। তাদের দাবি, এই দু’জনে যোগসাজশে নির্বাচনের দিন অন্য সংগঠনের কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি এফডিসিতে।

এছাড়া শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন ও জায়েদ খান ভোটকে প্রভাবিত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছেন বলেও তাদের দাবি করেন তারা। এ কারণে এর আগে পীরজাদা শহীদুল হারুনকে এফডিসিতে নিষিদ্ধ করেছিল শিল্পী সমিতি বাদে বাকি ১৭ সংগঠন।