সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এবার শিল্পী সমিতির মিটিং করলেন নিপুণ

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে গত ৬ মার্চ সর্বশেষ আদেশ দেন আদালত। জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত ও পদটির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণ আক্তারের আপিল আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তবে এরপরই জায়েদ খান ও তার আইনজীবীরা দাবি করেন, যেহেতু পদটির ওপর স্থিতাবস্থা জারি অর্থাৎ যারা যে অবস্থায় ছিলেন তারা সেভাবেই কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন। অর্থাৎ জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক! 

এর বিরুদ্ধেও বক্তব্য আসে নিপুণ ও তার আইনজীবীদের পক্ষ থেকে। তারা জানান, স্থিতাবস্থা মানে কেউ এই পদটিতে বসতে পারবেন না। তবে এর কয়েকদিন পর থেকেই নিপুণ সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রম মৌখিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এমনকি ৭ মার্চ ও ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াসহ সমিতিতে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার ব্যবহার করেছেন তিনি।১৭ মার্চ শিল্পী সমিতির ফুল অর্পণ

সর্বশেষ গতকাল (২৬ মার্চ) করলেন মিটিং। যেখানে অভিনেত্রী রোজিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণসহ রিয়াজকে কমিটিতে নেওয়ার পক্ষে মত দেন এই অভিনেত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এটি নিয়ে কথা বলেন কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। তিনি জানান, নিপুণই তাদের সাধারণ সম্পাদক। মিটিংয়েও অংশ নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।মিটিং শেষে সেলফিতে সমিতির নেতারা

সাইমন সাদিক বলেন, ‘গতকালের মিটিংয়ে নিপুণ আপাসহ কমিটির ১২ উপস্থিত ছিলাম আমরা। সর্বসম্মতিক্রমে রোজিনা আপার পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়। মিটিংয়ে রিয়াজ ভাই উপস্থিত না থাকলেও তার অনুমতিক্রমে এটি আমরা করেছি।’

নিপুণের বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘কমিটির মিটিংয়ের কার্যক্রমে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিপুণ আপা ছিলেন। এ বিষয়ে আইনগত কোনও জটিলতা নেই। কারণ এর আগে সাধারণ সম্পাদকের আসন ব্যবহার করায় আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন জায়েদ খান। তবে আদালত সেটা খারিজ করে দিয়েছিলেন।’

অন্যদিকে, জানা যায়, ‘ছলনা’ ও ‘ধোঁকা’ দেওয়ায় সভাপতির ক্ষমতাবলে ইলিয়াস কাঞ্চন জায়েদ খানকে বহিষ্কার করেছেন। এ কারণে আদালতের রায় আসার আগেই নিপুণ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। 

উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ‘ছলনা’র অভিযোগ তুলেন নন্দিত অভিনেতা ও সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। মিটিংয়ে বক্তব্য রাখছেন নিপুণ

শপথ নেওয়ার জন্য জায়েদ অসত্যের আশ্রয় নিয়েছেন এবং আদালতের অসত্য (পুরনো) রায় দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন কাঞ্চন। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে জায়েদের শপথ বাতিল করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।