শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে খবরটি নিশ্চিত করেছে আয়োজকরা।
রন হাওয়ার্ড পরিচালিত ‘ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ছিল প্রতিযোগিতা বিভাগের বাইরে। ১৯৯২ সালের ১৮ মে এর প্রদর্শনী শুরুর আগে ইঙ্গমার বার্গম্যানের লেখা ‘দ্য বেস্ট ইনটেনশন্স’ ছবির জন্য ডেনিশ পরিচালক বিলি অগাস্টকে স্বর্ণ পাম তুলে দেন টম ক্রুজ। এরপর কেটে গেছে তিন দশক। অবশেষে আবারও কানে ফিরছেন তিনি।
এবারের কান উৎসবে টম ক্রুজের ৪০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার উদযাপন করবে আয়োজকরা। তাকে ব্যতিক্রম শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্বের নানান প্রান্তের সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক দিদিয়ের আলুশের সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতায় অংশ নেবেন তিনি। আগামী ১৮ মে দক্ষিণ ফ্রান্সের সাগরপাড়ে পালে দে ফেস্টিভাল ভবনে রয়েছে এই আয়োজন।
আড্ডা শেষে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বসে ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনী দেখবেন টম ক্রুজ। এর আগে লালগালিচায় হাঁটবেন তিনি। কানসৈকতে যেতে ‘মিশন: ইমপসিবল সেভেন’ ছবির ব্যস্ততার ফাঁকে সময় বের করেছেন ৫৯ বছর বয়সী এই আমেরিকান তারকা।
বহুল প্রতীক্ষিত ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’ ছবিতে বৈমানিক লেফট্যানেন্ট পিট ম্যাভেরিক মিচেল চরিত্রে তিন যুগ পর ফিরছেন টম ক্রুজ। ১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘টপ গান’ ছবির সিক্যুয়েল এটি। আগের ছবি শেষের ৩০ বছর পরের ঘটনা নিয়ে সাজানো হয়েছে জোসেফ কসিনস্কি পরিচালিত ‘টপ গান: ম্যাভেরিক’।
এবারের ছবিতেও নৌবাহিনীর বৈমানিক পিট ম্যাভেরিক মিচেল চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। নতুন ছবিতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর স্ট্রাইক ফাইটার ট্যাকটিকস প্রশিক্ষণ প্রকল্পে কাজ করতে দেখা যাবে। নৌবাহিনীর নতুন প্রজন্মের পাইলটদের পরামর্শদাতা সে।
টম ক্রুজ ছাড়াও আগের ছবির অভিনেতা ভ্যাল কিলমার ফিরছেন নতুন পর্বে। এছাড়া নতুন যুক্ত হয়েছেন মাইলস টেলার, জেনিফার কনেলি, এড হ্যারিস ও জন হ্যাম।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আগামী ১৪ এপ্রিল বিকালে সংবাদ সম্মেলনে কান উৎসবের জেনারেল ডেলিগেট থিয়েরি ফ্রেমো ও সভাপতি পিয়েরে লেসকিউর ঘোষণা করবেন অফিসিয়াল সিলেকশন এবং বিচারকদের তালিকা। এবার স্বাভাবিকভাবে ১৭ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত কান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন বেলজিয়ান অভিনেত্রী ভার্জিনি এফিরা।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে বাতিলের পর গত বছর জুলাইয়ে সীমিত পরিসরে হয়েছে কান উৎসব। এতে স্বর্ণ পাম জেতে ফ্রান্সের জুলিয়া দুকুরনো পরিচালিত ‘তিতান’। এর মাধ্যমে ২৮ বছর পর কোনও নারী নির্মাতার হাতে উঠেছে এই সম্মান। ১৯৯৩ সালে ‘দ্য পিয়ানো’র জন্য প্রথম নারী হিসেবে স্বর্ণ পাম জিতে ইতিহাস গড়েন নিউজিল্যান্ডের জেন ক্যাম্পিয়ন।