মুজিব আমার পিতা: যুক্তরাষ্ট্রে হলো বিশ্ব প্রিমিয়ার

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব প্রিমিয়ার হলো বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক দেশের প্রথম অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’। 

রবিবার (৮ মে) নিউ ইয়র্কের কুইন্সের বোম্বে থিয়েটার হলে এই চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। দেশ-বিদেশের নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরসহ সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগ অ্যানিমেশন মুভিটি তৈরি করে।

টুঙ্গিপাড়ার প্রতিবাদী কিশোর একদিন হয়ে উঠলেন একটি দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, ইতিহাসের মহানায়ক। মহাসংগ্রামের পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার একটি পর্যায়; ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত তুলে ধরা হয়েছে এই চলচ্চিত্রে। 

ছবিটির নিউ ইয়র্ক প্রিমিয়ারে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটি দেখার জন্য এদিন কুইন্সের বোম্বে থিয়েটারে জমায়েত হয়েছিলেন অসংখ্য প্রবাসী। 

প্রিমিয়ার শোতে বক্তব্য রাখছেন পলকতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন হলে আমরা এই সিনেমাটির প্রদর্শন করেছি। এবার আমরা বিশ্বদরবারে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন এবং রাজনৈতিক আদর্শ তুলে ধরার জন্যই নিউ ইয়র্কে এসে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের আয়োজন করেছি।’ 

বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ওপর আরেকটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা জানিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ওপর সিনেমার পাশাপাশি একটি গেম তৈরি করছি। ফলে গেমিং এবং অ্যানিমেশন মার্কেটে বাংলাদেশের যে সক্ষমতা সেটাও তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে।’

আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে নির্মিত ‘মুজিব আমার পিতা’ নির্মাণ করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, নিউ ইয়র্কের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে।