‘পাপ পুণ্য’ প্রসঙ্গে সিয়াম

‘সেলিম পরিচালিত চঞ্চল অভিনীত- এটুকু শুনেই নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছি’

২০ মে বাংলাদেশ, আমেরিকা ও কানাডায় একযোগে মুক্তি পাচ্ছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের নতুন ছবি ‘পাপ পুণ্য’। এর অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করেছেন সময়ের সফল দুই নায়ক চঞ্চল চৌধুরী ও সিয়াম আহমেদ।

‘পাপ পুণ্য’ মুক্তি উপলক্ষে সোমবার (১৬ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। এতে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন, অভিনেতা মামুনুর রশীদ, আফসানা মিমি, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, সুমিসহ সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সারা পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী দর্শকদের ‘পাপ পুণ্য’ দেখার আহ্বান জানান চঞ্চল চৌধুরী। আশ্বাসের সুরে দর্শকদের বলেন, ‘‘দর্শককে কখনোই হলে এনে হতাশ করিনি আমি। সেই ধারাবাহিকতায় ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমাটি করেছি। আমি মনে করি, সারা পৃথিবীর বাঙালি এই সিনেমাটি দেখবেন। কারও সময় এবং অর্থ বৃথা যাবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।’’

আরও বলেন, ‘‘পাপ পুণ্য’ দেখার পেছনে অনেক ফ্যাক্টর আছে। এটি গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ছবি, সেই সঙ্গে এই ছবিতে বেশ কয়েকজন গুণী অভিনেতা রয়েছেন। বিশেষ করে আফসানা মিমি। আমি সবসময় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। যে চরিত্রে দর্শক আমাকে আগে দেখেনি। যেহেতু বড় পর্দা, তাই চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি। সেলিম ভাইয়ের এই গল্পটি এত শক্তিশালী, এটার স্ক্রিপ্ট যখন আমাকে শোনালেন, তখনই তাকে বলেছিলাম, ‘মনপুরা’ করার পরই এই গল্পটি দরকার ছিল।’’

সংবাদ সম্মেলনে টিম ‘পাপ পুণ্য’এদিকে ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে অন্য নায়ক সিয়াম বলেন, “গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত এবং চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত- এতটুকু শুনেই ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমার জন্য নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছি। পরে যুক্ত হলেন আফসানা মিমি। আমরা যারা ‘নাইনটিজ কিডস’ তাদের কাছে মিমি আপা মানে অন্যরকম কিছু, বিশেষ করে তার হাসি।”

সিয়াম আরও বলেন, ‘‘মনপুরা’ সিনেমাটি আমি আমার বাবা-মাকে নিয়ে দেখেছিলাম। তখন ছাত্র। সেই সিনেমার অভিনয়শিল্পী, সেই সিনেমার পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা যে কত স্পেশাল, সেটা বোঝানো যাবে না। তাদের সঙ্গে কাজ করা কতটা সৌভাগ্যের, সেটা আসলেই বোঝানো যাবে না।’’

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, ২০ মে কানাডা ও আমেরিকার ১১২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পাপ পুণ্য’। এখন পর্যন্ত দেশের ৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি নিশ্চিত হয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।